সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল। নির্বাচন কমিশন ভোটের সূচি ঘোষণা করার পর লড়াই তুঙ্গে উঠেছে। রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি সাধারণ কর্মীরাও ভোটের জন্য তৈরি হচ্ছেন। 


এবারের ভোটের আবহে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান, গান শোনা যাচ্ছে। রঙিন হয়ে উঠেছে ভোটের বঙ্গ। এই আবহেই এবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের ছবি নিজের হাতে ট্যাটু করালেন এক তৃণমূল কর্মী। হুগলির বলাগড়ের শ্রীপুরের বাসিন্দা এই তৃণমূল কর্মীর নাম উদিত পাল। চুঁচু্ড়ার রবীন্দ্রনগরে একটি ট্যাটু সেন্টারে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি ট্যাটু করিয়েছেন তিনি।


ভোট বঙ্গে রাজনীতির কারবারিরা নানারকম প্রচার করে থাকেন।নেতা-নেত্রীদের ছবি থেকে কাট আউট নিয়ে প্রচার, এমনকী, চুলের ছাঁটে দলের প্রতীক আঁকার নিদর্শনও আছে। এবার তৃণমূল নেত্রীর ছবি নিজের ডান হাতে খোদাই করালেন তৃণমূল কর্মী উদিত। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে হুবহু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মুখের আদল ফুটিয়ে তুলেছেন ট্যাটু শিল্পী রঞ্জন সাউ।


কোন ভাবনা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ট্যাটু করালেন, এই প্রশ্নের জবাবে উদিত জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আমার খুব ভাল লাগে। তাঁর হাওয়াই চটি, সাদা শাড়ি পরা অতি সাধারণ থাকা এবং মানুষের জন্য করা দেখে আমি অনুপ্রাণিত। দলের নেতারা দল বদল করে অন্য দলে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু আমার মতো বুথস্তরের কর্মীরা নেত্রীর সঙ্গেই আছে। অনেকদিন ধরেই নেত্রীর ছবি ট্যাটু করানোর কথা ভাবছিলাম। কিন্তু এতদিন সময় হয়ে ওঠেনি। অবশেষে ভোটের আগে নিজের শ্রদ্ধার নেত্রীকে নিজের হাতে খোদাই করে নিলাম।’


রাজ্যে এখন বিজেপি-হাওয়া। বাংলা দখল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে দলনেত্রীর ছবি ট্যাটু করানো ঝুঁকির হবে না তো? এই প্রশ্নের জবাবে উদিত বলেছেন, ‘কেউই চিরস্থায়ী নয়।সিপিএম-ও ৩৪ বছর পর বিদায় নিয়েছে। তৃণমূলও চিরদিন থাকবে না। কিন্তু নেত্রী থেকে যাবে। নেত্রীর প্রতি আমার শ্রদ্ধা, ভালবাসাও অটুট থাকবে।’