নয়াদিল্লি: উৎপাদন সংক্রান্ত ইনসেনটিভ স্কিম বিষয়ক ওয়েবিনারে ঘরোয়া উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট এবং দেশের নীতি শুধু সরকারের প্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। দেশের উন্নতির সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি পক্ষেরই এর সঙ্গে যুক্ত থাকা উচিত। আমাদের বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। উৎপাদন ক্ষেত্রে গতি ও পরিমাণ বাড়াতে হবে। গত এক বছরে করোনা পরিস্থিতির অভিজ্ঞতার পর আমি নিশ্চিত হয়েছি, এটা ভারতের দায়িত্ব। এটা শুধু দ্রুতগতিতে এই পথে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগই নয়। উৎপাদন অর্থনীতি সংক্রান্ত প্রতিটি ক্ষেত্রকে বদলে দেয়।’



প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘আমাদের সরকার উৎপাদন ক্ষেত্রে সংস্কারের পথে হাঁটছে। আমাদের নীতি ও কৌশল স্পষ্ট। আমরা ন্যূনতম সরকার ও সর্বোচ্চ সুশাসনের পক্ষে। আমরা যাবতীয় সমস্যা দূর করতে চাই। আমাদের দেশের সংস্থাগুলিকে এবং উৎপাদন শিল্পকে সারা বিশ্বে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে প্রথমসারিতে নিয়ে যেতে গেলে দিন-রাত কাজ করে যেতে হবে।’


আজ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরে কাজের বোঝা কমানোর চেষ্টা করছি। আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং আত্মশংসাপত্রের ব্য়বস্থা করাই আমাদের লক্ষ্য। উৎপাদন ক্ষেত্রের পরিধি বাড়লে কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে। উৎপাদন ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। আশা করি আগামী পাঁচ বছরে উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। উৎপাদনের খরচ, গুণমান এবং দক্ষতা আন্তর্জাতিক স্তরের করে তোলার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’


আজ ‘মেক ইন্ডিয়া’, প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, গাড়ি, ওষুধের মতো ১৩টি ক্ষেত্র উৎপাদন সংক্রান্ত ইনসেন্টিভ স্কিমের আওতায় আসবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বস্ত্র ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প উপকৃত হবে। এর ফলে কৃষিক্ষেত্রেরও লাভ হবে। ইনসেন্টিভ স্কিমে ২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।