পূর্ব মেদিনীপুর: দক্ষিণ কাঁথির মাজনায় ভোটারদের বিক্ষোভ। বিক্ষোভ ভোটদাতাদের।যে দলের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন সেখানে ভোট পড়ছে না।  অভিযোগ ভোটদাতাদের। ভোটদাতাদের একাংশের অভিযোগ, ইভিএমে  ভোট দিলেই তা বিজেপিতে পড়ছে।


ভোটকেন্দ্রের দরজা বন্ধ রাখা হয়। ভোটকেন্দ্রে জড়ো হv প্রচুর মানুষ।  ইভিএমে কারচুপির ভোটারদের বিক্ষোভের জেরে ভোটদান বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে।
প্রিসাইডিং অফিসার অবশ্য জানান, এই অভিযোগ সঠিক নয়।  ভোটাররা ভিভিপ্যাট দেখেছেন। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। ভোটারদের বিক্ষোভ যাতে অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতির তৈরি না নয়, সেই জন্যই বাধ্য হয়ে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। ভোট কেন্দ্রের ভেতরেই ছিলেন ভোটকর্মী ও রাজনৈতিক দলগুলির এজেন্টরা। 


 বিক্ষোভকারী ভোটাররা  দাবি জানান, এখানে এখনও পর্যন্ত যে ভোটদান হয়েছে, তা বাতিল করে ফের ভোটগ্রহণ করা হোক। 


প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন সকালেই  এভাবে ইভিএম কারচুপির অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভার মাজনায়। মাজনা হাই মাদ্রাসা-র ভোটারদের একাংশের অভিযোগ, জোড়াফুলে বোতাম টিপলেই, ভোট যাচ্ছে পদ্মে। বিক্ষোভকারী ভোটাররা অভিযোগ করলেন, তৃণমূলকে ভোট দিয়েছি, দেখাচ্ছে বিজেপিকে দিয়েছি। মেশিন খারাপ, আমাদের দাবি, ইভিএম মেশিন চেঞ্জ করতে হবে।যদিও, এই অভিযোগ মানতে নারাজ প্রিসাইডিং অফিসার। তিনি বলেন, প্রথম ১০০টা মতো ভিভি প্যাট কাজ করেছিল, তারপর কাজ করেনি, তবে ভোট বদলের অভিযোগ ঠিক নয়।


একই অভিযোগ উঠেছে, পাশের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র মাজনা প্রাইমারি স্কুলেও! সেখানেও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভ দেখান ভোটারদের একাংশ।ইভিএম কারচুপির অভিযোগে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র সংলগ্ন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সেক্টর অফিসার। কমিশনের তরফে ইভিএম কারচুরির অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। টেস্ট ভোট করানোর পর ফের ওই বুথগুলিতে ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়। 


এর আগে প্রথম দফার ভোটের শুরুতেই বিপত্তি  দেখা যায় কয়েকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে । কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভার ক্ষেত্রমোহন বিদ্যাভবনে চারটি বুথের মধ্যে তিনটি বুথের ইভিএম বিকল হয়ে যায় বলে। যার জেরে সকাল থেকে লম্বা লাইন। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিসাইডিং অফিসার।