রানা দাস, মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমিত সেনগুপ্ত, পূর্ব বর্ধমান: ভোটের সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। বিভিন্ন বুথে তৃণমূল ও বিজেপির এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ উঠল। নদীর ওপাড়ে বীরভূম থেকে বোমা ও গুলি ছুড়েছে তৃণমূল। অভিযোগ বিজেপির। কোনও গুলি চলেনি। জানাল নির্বাচন কমিশন। 


বৃহস্পতিবার প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুরের মঙ্গলকোটের নিগন পূর্বপাড়ার ২০৩ নম্বর বুথে, বিজেপির পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 


বিজেপি এজেন্টের অভিযোগ, তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। আক্রান্ত পোলিং এজেন্ট অনুপ চৌধুরী বলেন, আমাকে তৃণমূলের ছেলেরা মারধর, আমাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। জামা ছিড়ে দিয়েছে। কোনওরকমে পালাই। যদিও এই হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। 


এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক উল্টো অভিযোগ ওঠে, নিগন পূর্বপাড়া থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে মঙ্গলকোটের বাড়গ্রামে।  সেখানকার ৯ নম্বর বুথে, তৃণমূলের পোলিং এজেন্টের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।


আক্রান্ত পোলিং এজেন্ট গদাধর মণ্ডল বলেন, আমি রিলিফ টাইমে যখন বাইরে বেরোই, তখন বিজেপির লোকজন আমাকে মারধর করে। রড-বাঁশ-লাঠি দিয়ে মারধর করে। আমি বুথ সভাপতি। তাই আমাকে মেরে সরিয়ে দিতে পারলে, বিজেপি নিজের মতো করে ভোট করাতে পারবে।


 



 


এক্ষেত্রে আবার মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। এই ঘটনার পরই ফের উত্তেজনা ছড়ায় বাড়গ্রামের বুথ চত্বরে। অজয়ের দু-পাড়ে দুই জেলা। 


এপাড়ে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, ওপাড়ে বীরভূমের বোলপুর। বাড়গ্রাম বুথের খুব কাছ থেকেই বয়ে গিয়েছে অজয়। বিজেপির অভিযোগ, ভোট চলাকালীন বীরভূমের দিক থেকে বোমাবাজি করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। 


গুলি চালানোরও অভিযোগ তোলেন বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ। 


যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মঙ্গলকোটে গুলি চালানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি। 


আজ রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন হচ্ছে। ৪ জেলার মোট ৪৩টি আসনে ভোট হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার ১৭, পূর্ব বর্ধমানের ৮, উত্তর দিনাজপুর ও নদিয়ার ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। ৪ জেলার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি বুথ অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।


পূর্ব বর্ধমান (৮)-
ভাতার, পূর্বস্থলী দক্ষিণ, পূর্বস্থলী উত্তর, কাটোয়া, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম, গলসি।