কলকাতা: সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীনই চিৎকার। সাদা শার্ট পরে মঞ্চে উঠে এলেন নায়ক। বসলেন সামনের সারিতে। মুহূর্তের অপেক্ষা। তারপরেই উঠে এলেন মঞ্চে। হাতে তুলে নিলেন গেরুয়া পতাকা। জল্পনার অবসান। বিজেপিতে যোগ দিলেন যশ দাশগুপ্ত।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই যশের মুখে বদলের কথা। বললেন 'সিস্টেমের মধ্যে থেকেই বদল করতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমি এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান করি। আমি এখনও নিজেকে ওনার ভাই বলি।' নুসরতের সঙ্গে এবিষয়ে কথা হয়েছে কিনা সেটা নিয়েও মুখ খোলেন যশ। বলেন, 'নুসরত আমার বন্ধু। আমাদের বন্ধুত্ব জীবিকার সূত্রে। আমাদের পেশা অভিনয়। নুসরত তাঁর মতাদর্শে তৃণমূলে রয়েছে আমি আমার মতাদর্শে বিজেপিতে। আমার আরেক বন্ধু মিমিও তৃণমূলে রয়েছেন। কিন্তু আমরা আবার একসঙ্গে কাজ করব। রাজনীতির রঙ এখানেই থাক। টলিউডে রাজনীতির রঙ না লাগানোই ভালো।' প্রথমে আজকের যোগদান নিয়ে কোনও মন্তব্য করেন নি যশ। একেবারে মঞ্চে এসে চমকে দিলেন তিনি।
অন্যদিকে আজই বিজেপিতে যোগ দিলেন সৌমিলি বিশ্বাস ও পাপিয়া অধিকারী। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে আজ গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন পাপিয়া অধিকারী, সৌমিলি বিশ্বাস ও ত্রমিলা ভট্টাচার্য।
আজ সকালেই জানা যায়, টালিগঞ্জের একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। তালিকায় ছিলেন অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী, সৌমিলি বিশ্বাস ও ত্রমিলা ভট্টাচার্য। ছিলেন মুকুল রায় ও স্বপন দাশগুপ্তও। সেইমতোই আজ বিজেপি যোগ দিলেন একঝাঁক তারকা।
আজ সকালেই বিজেপি সূত্রে খবর ছিল, গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। অভিনেত্রী সায়নী ঘোষও যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা। গতকাল মুকুল রায়ের জন্মদিনে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান টলিউডের একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী। সেই দলে ছিলেন সায়নী ঘোষও। তবে এখনই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না, জানিয়েছেন সায়নী ঘোষ।
হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। কিন্তু সূত্রের খবর, তৃণমূল ছাড়ছেন হিরণ। বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করলেন অভিনেতা। বললেন কিছু ফরম্যালিটিজ বাকি।
অন্যদিকে জল্পনা তৈরি হয়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়েও। গতকাল বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর জল্পনা শুরু হয়। প্রসেনজিৎ -এর ছবি পোস্ট করেছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রুদ্রনীল ঘোষও। কিন্তু আজ প্রসেনজিৎ বলেন, ‘অতিথিকে স্বাগত জানানো বাংলার সংস্কৃতি। অতীতেও বিভিন্ন ক্ষেত্র ও পেশার মানুষের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি অপরের মতামতকে গুরুত্ব দিই। আমারও নিজস্ব মতামত আছে। অনির্বাণের সঙ্গে সাক্ষাতে কোনও রাজনৈতিক জল্পনা নেই। আমি আমার কাজ তথা অভিনয়েই নজর দিতে চাই।‘ বিজেপিতে যোগ-জল্পনার মধ্যে এমনই ট্যুইট করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।