কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: ভোটের মুখে এবার জল্পনা বাড়ালেন অভিনেতা বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। অব্যাহতি চাইলেন দলনেত্রীর কাছে। ‘রাজনীতির লোক নই, ছেড়ে দিন আমাকে’, জানালেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবিপি আনন্দকে বারাসতের অভিনেতা বিধায়ক জানিয়েছেন, ‘দল ছেড়ে দিলেও অন্য দলে যাব না। ফিরে যাব নিজের জগতে।’


ভোটের বাদ্যি বাজতেই চলল। কিন্তু দেখা নেই বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর। কিন্তু কেন? উত্তরে তিনি জানালেন, ‘’আমি অরাজনৈতিক লোক। বলা ভাল রাজনীতির বাইরের লোক। পলিটিক্স ইজ নট কাপ অফ মাই টি।‘’


তাঁর কথায়, "২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১৪৬ আসন দরকার ছিল। তার বেশ কয়েকবছর আগে থেকেই আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান, সভায় গিয়েছি। আমার মনে হয়েছিল ওঁ একমাত্র ব্যক্তি যে সত্যি পরিবর্তন আনতে পারবেন।  ওই বছর ওঁর অনুরোধেই ভোটে দাঁড়াই। ২০১৬ সালেও অব্যাহতি চেয়েছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি হননি। বলেছিলাম আমাকে ছেড়েদিন। আর লাগবে না। এবারও তাই চেয়েছি।''


কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের মুখে কেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়কের এই সিদ্ধান্ত? তাঁর এই বক্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে দল বদলের জল্পনা। কিন্তু জল্পনা উড়িয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতার বক্তব্য, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি, ছেড়ে দিন অন্য কাজ করি। ছবি আঁকা, গান, সিনেমা নিয়ে থাকতে চাই। অনেক বয়স হয়েছে। দল বদলের প্রশ্ন নেই। আমি রাজনৈতিক নেতা নয়। আমার নিজের দল আছে। যা হল অরাজনৈতিক।''


পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচনে। আর এই আবহে দল বদলের হিড়িক দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মধ্যে। অভিনেতা, অভিনেত্রীদের মধ্যেও এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। কিন্তু এই দল বদলের মধ্যে তিনি নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, যাঁরা দল ছেড়ে যাচ্ছেন সেটা তাঁদের ব্যাপার। রাজনীতি ছাড়া এখন কেউ কথা বলে না। ৩০ বছর আগে এরকম ছিল না। আমি আগেও বলেছি অবস্থান বদল নয়। যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।