কলকাতা : বঙ্গে তৃণমূলের জয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। যদিও তৃণমূল নেত্রীর জয়ে অভিনন্দন জানাবেন না বললেন বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। উল্টে মমতাকে জিতিয়ে আনার সিদ্ধান্ত রাজ্যবাসীর 'ঐতিহাসিক ভুল' বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
রাজ্যে বিপুল ভোটে জয় পেয়ে ফের গদিতে বসছেন তৃণমূল নেত্রী। শাসক দলের প্রত্যাবর্তন নিয়ে বাঁকা কথা শোনা যায়নি গেরুয়া শিবিরে। অথচ খোদ ফেসবুক পোস্ট করে রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ''আমি ওঁকে অভিনন্দনও জানাব না, রাজ্যবাসীর এই রায়কে সম্মান জানাচ্ছি-এই কথাও বলব না। আপনারা চিন্তা করে দেখবেন, বিজেপিকে একবার সুযোগ না দিয়ে ঐতিহাসিক ভুল করেছেন। একটা দুর্নীতিপরায়ণ, অসৎ সরকারকে জিতিয়ে ফের ওই নিষ্ঠুর মহিলাকে ক্ষমতায় এনেছেন আপনারা।''
তবে এই বলেই থেমে থাকেননি রাজ্য বিজেপির অন্যতম কান্ডারি। পোস্টে তিনি লেখেন, ''গণতান্ত্রিক দেশে আইন মেনে নাগরিকরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা আমি মেনে নিচ্ছি। ব্যস এটাই বলার ছিল। এর থেকে আর বেশি কিছু নয়।''
যদিও রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিশাল জয়ের পরই অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট করে তিনি লেখেন, ''মমতা দিদি ও তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়ের অভিনন্দন। কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে সব ধরনের সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে। কোভিড লড়াইতেও রাজ্যের পাশে রয়েছে কেন্দ্র।''
রাজ্যের ভোটচিত্র বলছে, বঙ্গের নির্বাচনে গেরুয়া ব্রিগেডের চার হেভিওয়েট সাংসদকে ময়দানে নামায় বিজেপি। যার মধ্যে টালিগঞ্জে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নামেন বাবুল। আসানসোলে লোকসভা নির্বাচনে জয় পেলেও মমতার মন্ত্রীর কাছে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরে যান তিনি। বঙ্গ নির্বাচনরে ফল বলছে, ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ২১৬ টি আসন। বিজেপি জিতেছে ৭৪ টি আসন। বাকিরা দুটি। সব থেকে টানটান উত্তেজনা ছিল নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করে। শেষবেলায় শুভেন্দু অধিকারির কাছে সেখানে পরাজিত হন তৃণমূল নেত্রী। যদিও এই হারের মধ্যে কারচুপির গন্ধ পেয়েছেন তিনি।