নন্দীগ্রাম : মাথা ঠান্ডা রাখুন, কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। থাকবেন আপনারাই, আর আপনাদের দেখতে থাকবে রাজ্য পুলিশই। ভিন রাজ্যের পুলিশ অত্যাচার করছে, ভোট শেষে ভিন রাজ্যের পুলিশ থাকবে না। আর পান্ডাদের কীভাবে বের করে দিতে হয় তা বাংলার মানুষ ভালোভাবেই জানে। নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারের মাঝে সোনাচূড়ার জনসভা থেকে এমনটাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট। রাজ্যের ৪ জেলার ৩০ টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ। যার মধ্যে সবথেকে বেশি চর্চিত কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। যেখানে গত কয়েকদিন ধরে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো তাঁর প্রচারের মাঝে বারবার অভিযোগ তুলেছেন ভিন রাজ্যের পুলিশ এনে ভোট প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার। এমনকি ইভিএম নিয়েও বারবার ঘাসফুল শিবিরের কর্মীদের সতর্ক করেছেন তিনি। এদিনও তিনি জানিয়েছেন, ইভিএম মেশিন খারাপ হলেও অপেক্ষা করবেন। ভোট না দিয়ে ফিরে আসবেন না।




ভোটের জন্য রেয়াপাড়ায় বাড়ি ভাড়া করে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখান থেকে এদিন নন্দীগ্রামে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় ঘিরে ধরে জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলেন বিজেপির সমর্থকরা, একই কাণ্ড ঘটে মহম্মদ বাজারেও। যে ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে নন্দীগ্রামে শেষ দিনের প্রচারের মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপাতত রাজ্য পুলিশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে, তাই তাদের অনেককিছু করতে হচ্ছে। আর সঙ্গে এসেছে কিছু বাইরের রাজ্যের পুলিশ। কিন্তু মনে রাখবেন, ওরা ভোট করতে এসেছে চলে যাবে। আপনারা ভোটের সময় কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। ওদের দাঙ্গা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।


(আরও পড়ুন নন্দীগ্রামে মমতার গাড়ি ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান )


পাশাপাশি প্রাক্তন সেনাপতি তথা বর্তমান প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে আক্রমণের শান বাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোড়েন, হাজার হাজার টাকা চুরি করেছে গদ্দার, সেই টাকা থেকে দিচ্ছে সকলকে। তাই টাকা দিলে নিয়ে নিন, আর ভোটের সময় ওদের খরচা করে দিন। টাকা নেওয়া ঠিক নয়, আমরা সে কথা বারবার নির্বাচন কমিশনকে বলেওছি। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।