কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, পন্ডিচেরির মতো অসমেও এবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। তিন দফায় রাজ্যের ১২৬ আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম দফার ভোট হয় ২৭ মে। ওই দফায় ৪৭ আসনে ভোট হয়। দ্বিতীয় দফায় ১ এপ্রিল ৩৯ আসনে ভোট নেওয়া হয়। শেষ তথা তৃতীয় দফায় গত ৬ এপ্রিল ৪০ আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ সহ বাকি রাজ্যগুলির মতোই অসমে ভোট গণনা আগামী ২ মে।
এবার অসমে রাজনৈতিক লড়াইয়ে রয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সহ ১৩ টি দল। ২০১৬-র নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই তাদের লক্ষ্য ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন। অন্যদিকে, এক সময়ে রাজ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দল কংগ্রেসের এবারের লড়াই ক্ষমতায় ফিরে আসার। গত নির্বাচনে মাত্র ২৬ আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস।
এবারের নির্বাচনে অসম গণপরিষদ( এজিপি) ও ইউনাইটেট পিপলস পার্টি লিবারাল বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটে রয়েছে। বিজেপি ৯২ আসনে লড়াই করেছে। এজিপি ২৬ ও ইউপিপিএল আট আসনে লড়াই করেছে।
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে রয়েচে বদরুদ্দিন আজমলের (এআইইউডিএফ), আঞ্চলিক গণ মোর্চা (এজিএম) সিপিআই, সিপিএম, সিপিআইএমএল, আরজেডি।
২০১৬-র নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করেছিল বোরোল্যান্ড পিপলস পার্টি। তারা এবার কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কংগ্রেস ৯০ আসনে ও শরিকরা বাকি ৩৬ আসনে লড়াই করছে।
আগামী ২ মে ভোট গণনা। তার আগে আজ বুথ ফেরত সমীক্ষা। কাদের দখলে নবান্ন? দেশের নজর দোসরা মে-তে। বিধানসভার দৌড়ে এগিয়ে কে? কী বলছে সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা? কী ইঙ্গিত দিচ্ছে অন্যান্য EXIT POLL? বাংলার বিধান, সন্ধে ৬টায়।
এখন দেখে নেওয়া যাক-২০১৬-তে অসমের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কী ছিল?
২০১৬-র নির্বাচনে পদ্ম ঝড়ে পতন ঘটেছিল রাজ্যের তিনবারের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তরুণ গগৈ সরকারের। এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০১৬-তে শক্তি বাড়িয়ে তারা ৬০ আসনে জয়ী হয়েছিল। এডিএ-র শরিক হিসেবে এজিপি ও বোরোল্যান্ড পিপলস পার্টিও যথাক্রমে ১৪ টি ও ১২ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সবমিলিয়ে এনডিএ জোট পেয়েছিল ৮৬ আসন। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সর্বানন্দ সোনোওয়াল।
অন্যদিকে, ২০১১- র নির্বাচনে ৭৮ আসনে জিতে সরকার গড়া কংগ্রেস ২০১৬-তে পেয়েছিল মাত্র ২৬ আসন। অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট জিতেছিল ১৩ আসনে। একটি আসন পেয়েছিল নির্দল।