কলকাতা: বাংলায় আট দফার বিধানসভা নির্বাচনের অষ্টম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ সম্পূর্ণ হল ২৯ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। ফলপ্রকাশ ২ মে। সেদিনই ঠিক হয়ে যাবে, কারা পেতে চলেছে বাংলার মসনদ। তার আগে এবিপি আনন্দ-সি ভোটার বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত পাওয়া গেল, কী হতে পারে তারকা প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ।


এবিপি আনন্দ-সি ভোটার বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে এগিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছিল অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে এগিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুর কেন্দ্রে সামান্য এগিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বলছে এবিপি আনন্দ-সি ভোটার বুথ ফেরত সমীক্ষা।


এবার অনেকের নজর রয়েছে টালিগঞ্জ কেন্দ্রের দিকে। সেখানে শাসক দলের টিকিটে লড়ছেন পোড়খাওয়া রাজনীতিক অরূপ বিশ্বাস। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, বাবুলের চেয়ে সামান্য এগিয়ে অরূপ বিশ্বাস। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত রয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষায়। কলকাতা বন্দর কেন্দ্রে এগিয়ে ফিরহাদ হাকিম। রাসবিহারী কেন্দ্রে সামান্য এগিয়ে দেবাশিস কুমার, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এগিয়ে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে, বলছে এবিপি আনন্দ-সি ভোটার বুথ ফেরত সমীক্ষা।


সমীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের দুশো বিরানব্বইটি বিধানসভা কেন্দ্রের পঁচাশি হাজারেরও বেশি ভোটারের সঙ্গে একেবারে সরাসরি কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে সাতাশে মার্চ থেকে উনত্রিশে এপ্রিল পর্যন্ত। মার্জিন অফ এরর প্লাস-মাইনাস ৩ শতাংশ।  এই সমীক্ষার সঙ্গে এবিপি আনন্দের এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া সংখ্যাগুলো শুধু হুবহু আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয় মাত্র। এক্সিট পোলকে ধ্রুবসত্য মনে করে উচ্ছ্বসিত, ক্ষুব্ধ বা হতাশ হওয়ার কোনও জায়গা নেই। কারণ সমীক্ষা কখনও মেলে, কখনও একেবারেই মেলে না। কয়েক মাস আগে বিহার বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রে এক্সিট পোল মেলেনি। আবার ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ের ক্ষেত্রে মিলেছিল। তাই শেষ কথা বলা যাবে, আগামী রবিবার দোসরা মে।