কলকাতা : 'আদালত কোনও রাজনৈতিক দলকে নিয়ে চিন্তা করছে না। আদালত মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত! ' পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি নিয়ে, এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই সঙ্গে মনোনয়ন ঘিরে ভাঙড় ও বসিরহাটে যে ভয়ঙ্কর অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল হাইকোর্ট।
'আদালত কোনও রাজনৈতিক দল নিয়ে চিন্তা করছে না'
ভাঙড়ের ( Bhangar ) ঘটনায় রাজ্য়ের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট ( Calcutta High Court ) । আগামী মঙ্গলবারের মধ্য়ে রিপোর্ট তলব রা হয়েছে। ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হয় ISF। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নের জন্য ৬ দিন, ৪ ঘণ্টা করে সময় দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, এটুকু সময়ের মধ্যেই একের পর এক খুন, বীভৎস বোমাবাজি, লাঠি হাতে দুষ্কৃতীদের দাপটের ভয়াবহ ছবি বঙ্গবাসীর মেরুদণ্ড দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বইয়ে দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই ভাঙড়ের অশান্তি নিয়ে নৌশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ এবং বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের অভিযোগে বিজেপি ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
শুনানিতে আইএসএফ-এর পক্ষ থেকে তাদের আইনজীবী অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পরও ৮২ জন প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করতে পারেননি বলে । আরও বলা হয়, বিডিও অফিসের ভিতরেই প্রার্থীদের মারধর, বোমা ছোড়া হয়। তাতে আদালত পুলিশি নিরাপত্তায় মনোনয়নের নির্দেশ দেওয়ার পরও, একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর। এক ব্যক্তির ভিডিও বিচারপতিকে শোনানো হয়।
তখনই বিচারপতি মন্তব্য করেন, আদালত কোনও রাজনৈতিক দল নিয়ে চিন্তা করছে না। আদালত মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপিও
অন্যদিকে, বসিরহাটের সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, ন্যাজাট এবং হাড়োয়া এই ৪টি ব্লকে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপিও। মনোনয়নের নিরাপত্তা নিয়ে পুুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে তারা। বিজেপি এদিন অভিযোগ করে, থানা থেকে পুলিশের গাড়িতে করে প্রার্থীদের বিডিও অফিস পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় ঠিকই। কিন্তু, সেখানে বোমা-বন্দুক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো দুষ্কৃতীদের মুখে ফেলে দিয়ে চলে যায় পুলিশ। ফলে কেউ মনোনয়নই জমা দিতে পারেননি! মঙ্গলবারের মধ্যে নবান্নের রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
সুকান্তর ট্যুইট
অন্যদিকে, তৃণমূলের মনোনয়নের সংখ্যার রিপোর্ট তুলে ধরে শুক্রবার ট্যুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি লেখেন, 'মাত্র ৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফলে প্রত্যেকের মনোনয়নের জন্য গড়ে ২ মিনিট সময় লেগেছে। রাজ্য সরকার গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রহসন করেছে এটাই তার প্রমাণ'