কলকাতা: যেকোনও শুঁটিজাতীয় বা বিনসজাতীয় শস্য তাদের পুষ্টিগুণের জন্য পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন আকারের, বিভিন্ন রঙের শুঁটিজাতীয় শস্য পাওয়া যায়। প্রায় সবকটিই একইরকম উপকারী এবং পুষ্টিপদার্থে ঠাসা। 


বিনসজাতীয় শস্যের গুণাবলী দেখে নেব একনজরে


উচ্চ মাত্রায় ফাইবার, কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ভয়ও থাকে না বিনসজাতীয় শস্যে। প্রোটিন, বিভিন্ন খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিনে ঠাসা এই ধরনের শস্য। কোষের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও কার্যকরী। এই জাতীয় শস্যে ভরপুর ফাইবার থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ফাইবার কাজে লাগে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা লাগামে রাখতেও ফাইবার কাজ করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা লাগামে রাখতেও বিশেষ উপকারী। পাচনতন্ত্র, হজমশক্তি ঠিক রাখতেও সহায়ক বিনসজাতীয় শস্য। শুঁটিজাতীয় শস্য দেহে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে, যা  হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। শুঁটিজাতীয় শস্যে ক্যান্সারবিরোধী গুণও রয়েছে। বিনসজাতীয় শস্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। যা ডায়াবেটিকদের জন্য খুবই ভাল।


আরও পড়ুন...


Alcohol Intake : কম অ্যালকোহল সেবনও বাড়িয়ে দেয় ৬০-র বেশি রোগের ঝুঁকি, চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষণায়


মানবদেহের হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রয়োজন ক্যালসিয়াম। শুঁটিজাতীয় শস্য দেহে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। বলা হয়ে থাকে এর ক্যান্সারবিরোধী গুণও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। 


বিনসজাতীয় শস্যে যে যে পোষকপদার্থ থাকে, তার মধ্যেই একটি হল ফলেট। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনী ফলেট। সুস্থ লোহিত রক্তকণিকা তৈরির কাজে যেমন লাগে, তেনমনই গর্ভাবস্থায় মা ও ভ্রূণের স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই পোষকপদার্থ।


রক্তের শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখতে প্রয়োজন হয় ম্যাগনেশিয়াম। বিনসজাতীয় শস্য থেকে পাওয়া যায় এই খনিজ। পটাশিয়াম ও জিঙ্কেরও অত্যন্ত ভাল উৎস এটি।


মটরশুটি তাদের পুষ্টিগুণের জন্য পরিচিত। সবাই জানে যে এতে প্রোটিনের পরিমাণ মাংসের চেয়ে বেশি। এবং এর গুণমান একটি মুরগির ডিমের প্রোটিনের থেকে নিকৃষ্ট নয়। শস্যের ক্যালরির পরিমাণ মাংসের তুলনায় তিন গুণ বেশি। যাদের লিভার এবং গলব্লাডার রোগাক্রান্ত তাদের জন্যও এই লেবু উপকারী। এটি প্রতিটি মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।


আরও পড়ুন...


Summer Skin Care: গরমের মরসুমে রোদের তেজে র‍্যাশের সমস্যা, মুক্তি পেতে ভরসা থাকুক ঘরোয়া টোটকায়


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।