মুম্বই: মুক্তি পেল শাহরুখের ‘ফ্যান’। শাহরুখ-অনুরাগীদের আবেগ-উচ্ছ্বাসের মধ্যে দেশ-বিদেশের প্রায় সাড়ে তিন হাজার পর্দায় মুক্তি পেল ‘ফ্যান’। জেনে নেওয়া যাক এই ফিল্ম সম্পর্কে কয়েকটি অজানা তথ্য।
•    প্রায় দুইবার মুক্তি পিছিয়েছে ‘ফ্যান’-এর। ‘রইস’ ও ‘দিলওয়ালে’-র আগেই ফ্যান-এর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু শাহরুখের হাঁটুর চোটের কারণে সিনেমার মুক্তি পিছিয়ে যায়। এমনকি এই সিনেমায় যে ভিস্যুয়াল এফেক্টস ব্যবহার করা হয়, তার জন্যও এর মুক্তি পিছিয়ে যায়। দুবার সিনেমার মুক্তি পিছিয়ে গিয়েছিল। প্রথমে ২০১৫-র গোড়ার দিকে সিনেমার মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু পরে গত বছরের মাঝামাঝি মুক্তির সময় ধার্য করা হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি।


•    ফ্যান-এর লোগোটি ভালো করে লক্ষ্য করেছেন? এটা শাহরুখ-প্রেমীদের জন্য একটা বিশেষ উপহার। টিম-ফ্যান একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। শাহরুখের ফ্যানদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। প্রতিযোগিতায় জয়ী ১০০ জনের প্রোফাইল পিকচার দিয়ে ফ্যান-এর লোগো তৈরি করা হয়েছে।
•    পরিচালক মণীষ শর্মা মন্নতে শাহরুখের বাসভবনে শ্যুটিং করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তা সম্ভব না হওয়ায় মুম্বই ফিল্ম সিটিতে রেপ্লিকা তৈরি করা হয়।
•    সিনেমায় ফ্যান গৌরবের চরিত্রটি পর্দায় যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে শাহরুখ তাঁর মুখের ডিজিটাল ৩ ডি স্ক্যানিং করেছিলেন। এ জন্য তাঁকে আমেরিকাতে যেতে হয়েছিল। এই প্রথম কোনও সিনেমায় শাহরুখ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।


•    অল্পবয়সী গৌরবের চরিত্রের জন্য শাহরুখ প্রোস্থেটিক মেকাপ ব্যবহার করেছেন।এ জন্য হলিউডের প্রথমসারির মেকাপ আর্টিস্ট গ্রেগ ক্যানোমকে নিয়ে আসা হয়। গ্রেগ তিনবার অকাদেমি পুরস্কার জিতেছেন।
•    প্রায় আট বছর আগে এই সিনেমার পরিকল্পনা করেছিলেন মণীষ শর্মা। অবশেষে তাঁর স্বপ্ন সফল হল।
•    ছবির ট্রেলর মুক্তি পাওয়ার পর জল্পনা শুরু হয় যে, এই সিনেমায় ১৯৯৬-এ রবার্ট ডে নিরো অভিনীত ‘দ্য ফ্যান’-এর কাহিনীর প্রভাব রয়েছে। হলিউডের এই সিনেমাটি অবশ্য চূড়ান্ত ফ্লপ হয়েছিল।
•    পর্দায় দ্বৈত ভূমিকায় ইলিয়ানা ডি ক্রুজ ও বাণী কাপূরের সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা যাবে কিং খানকে। এই সিনেমায় সায়েলি গুপ্তা এবং ওয়ালুসচা ডি সুজাও অভিনয় করেছেন।
•    শাহরুখের কথায় এই সিনেমা তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন এবং একইসঙ্গে সবচেয়ে স্পেশ্যাল।
•    মুম্বই, ক্রোয়েশিয়া, লন্ডন ও দিল্লিতে এই সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে।
•    ক্রোয়েশিয়ায় শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনেই পায়ে চোট পান শাহরুখ। তাঁকে পেনকিলার খাওয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপিও করতে হয়। এরপরও সেখানে শ্যুটিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ করেন তিনি।
•    মাদাম তুসো মিউজিয়ামে এই প্রথম কোনও সিনেমার শ্যুটিং হল। এরজন্য বিশেষ অনুমতি যোগাড় করতে হয়।
•    সিনেমার প্রযোজকরা শাহরুখের লুক নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তাই সেটে কাউকে ছবি তুলতে দেওয়া হয়নি। এজন্য মোবাইল ফোন সেটে নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি শাহরুখকেও মোবাইল ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
•    বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য সিনেমায় শাহরুখের অনুরাগীদের সত্যিকারের ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৫-তে অভিনেতার জন্মদিনে ওই ছবি তোলা হয়।