নয়াদিল্লি: '৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার' (69th National Film Awards) অনুষ্ঠিত হল আজ, ২৪ অগাস্ট। ঘোষণা করা হল বিজয়ীদের নাম। সেরা সহ অভিনেতা (Best Supporting Actor) হিসেবে পুরস্কৃত হলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী (Pankaj Tripathi), তাঁর 'মিমি' (Mimi) ছবিতে অভিনয়ের জন্য। অন্যদিকে, সেরা সহ অভিনেত্রী হলেন, 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ছবির জন্য পল্লবী যোশী। চলচ্চিত্রে সেরার সম্মান পেয়ে কী প্রতিক্রিয়া পঙ্কজ ত্রিপাঠীর?
সেরা সহ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী
'মিমি' ছবি মন জয় করেছিল দর্শকের। মুখ্য চরিত্রে কৃতী শ্যানন যেমন নজর কাড়েন, তেমনই দর্শকের মনে ধরেছিল পঙ্কজ ত্রিপাঠীর অনবদ্য অভিনয়। এই ছবির জন্য সহ অভিনেতার খেতাব জিতলেন পঙ্কজ। কিন্তু ঠিক মতো সেই আনন্দ উপভোগ করার মতো মানসিক পরিস্থিতি এখন নেই অভিনেতার। সম্প্রতি পিতৃবিয়োগ ঘটেছে তাঁর। উচ্ছ্বাস স্তিমিত, তাতে মিশল আবেগ ও আক্ষেপ।
সেরা সহ অভিনেতা হিসেবে 'জাতীয় পুরস্কার' পেয়ে তা সদ্য প্রয়াত বাবাকে উৎসর্গ করলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। নাম ঘোষণার পর বিবৃতি দিয়ে অভিনেতা বলেন, 'এটি দুর্ভাগ্যবশত আমার জন্য ক্ষতি এবং শোকের সময়। যদি বাবুজি বেঁচে থাকতেন, তিনি আমার জন্য অত্যন্ত খুশি হতেন। যখন প্রথম জাতীয় পুরস্কারের জন্য আমার নাম মনোনীত হয়, তিনি অত্যন্ত গর্বিত ও খুশি হয়েছিলেন'।
পঙ্কজ ত্রিপাঠী একইসঙ্গে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন 'মিমি' ছবিতে তাঁর সহ-অভিনেত্রী কৃতী শ্যাননকে। এই ছবির জন্যই তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, 'এই জাতীয় পুরস্কার আমি আমার বাবা ও তাঁর আত্মাকে উৎসর্গ করছি। আমি আজ যা, সেটা সম্পূর্ণ তাঁর জন্যই। এই সময় আমি কথা হারিয়েছি কিন্তু আমি আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ গোটা টিমের কাছে। কৃতীও সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁকেও অঢেল শুভেচ্ছা।'
কমেডি ড্রামা ঘরানার 'মিমি' ছবির পরিচালক ছিলেন লক্ষ্মণ উতেকর। এই ছবিটি মূলত ২০১১ সালের মরাঠি ছবি 'মালা আই ভ্যাচি'র হিন্দি রিমেক। বিদেশি দম্পতির জন্য সারোগেসির সিদ্ধান্ত নেয় কৃতী শ্যাননের চরিত্র। তারপর কীভাবে তাঁর গোটা জীবন বদলে যায় ও ঘটনার ঘনঘটা নিয়ে তৈরি ছবি।
গত সোমবার, তিন দিন আগেই, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পঙ্কজ ত্রিপাঠীর বাবা বেনারস তিওয়ারি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৯। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন অভিনেতার বাবা। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। তবে তাঁর মা ও বাবা এখনও বিহারের গ্রামেই থাকতেন। বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে অভিনেতা বিহারের উদ্দেশে রওনা দেন তড়িঘড়ি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial