মুম্বই : ২০০৬ সালে মুক্তি পায় জনপ্রিয় বলিউড ছবি 'রং দে বাসন্তী'। আমির খান, সরমন যোশি, সোহা আলি খান, আর মাধবন অভিনীত এই ছবি এতটাই জনপ্রিয়, যে তা আজও দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে রেখেছে। সম্প্রতি ছবির পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা 'রং দে বাসন্তী' ছবি তৈরির পিছনের কিছু গল্প স্মৃতিচারণা করেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, জনপ্রিয় এই ছবি তৈরির সময়ে বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান নাকি একটি বিশেষ কারণের জন্য দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দাবি করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, 'রং দে বাসন্তী' ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমির খানের পারিশ্রমিক ছিল ৪ কোটি টাকা। কিন্তু একটি বিশেষ কারণের জন্য নাকি তিনি ৮ কোটি টাকা নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। কী সেই বিশেষ কারণ? যার জন্য 'দঙ্গল' তারকা তাঁর পারিশ্রমিক একেবারে দ্বিগুণ করেছিলেন?


পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা বলছেন, ''রং দে বাসন্তী' ছবির জন্য যখন আমিরকে সই করানো হচ্ছিল, তখন ও অদ্ভূত একটা শর্ত রাখে। বলেছিল যে ওর পারিশ্রমিক ৪ কোটি টাকা। কিন্তু যদি ওকে সময় মতো পারিশ্রমিক না দেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু ওকে ৮ কোটি টাকা দিতে হবে।' এরই সঙ্গে নাকি আমির খান এটাও বলেছিলেন যে, তিনি নাকি ততদিন পর্যন্ত ৮ কোটি টাকা দেখেননি। স্মৃতিচারণা করে এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক। খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার আত্মজীবনী 'দ্য স্ট্রেঞ্জার ইন দ্য মিরর'। বইটি রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার সঙ্গে লিখেছেন লেখিকা রীতা রামামূর্তি গুপ্তাও। সম্প্রতি সেই বইতেই পরিচালক আমির খানের এই দ্বিগুণ পারিশ্রমিকের দাবির রহস্য ফাঁস করেন। তিনি বলছেন, 'আমির খান সত্যিই একজন ক্রিয়েটিভ মানুষ। শুধু তাই নয়, কোথায় কী ভুল হচ্ছে, কোনটা ঠিক হচ্ছে, সবটাই ক্রিয়েটিভিটির সঙ্গে দেখেন তিনি। কখনও কখনও অতিরিক্ত শ্যুটিংয়ের জন্যও সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এক্ষেত্রে আমির নিজেও একটা সিন সঠিক না হওয়ার জন্য বা কোনও দৃশ্যে অভিনয় 'পারফেক্ট' না হওয়ার জন্য আরেকবার টেক দিতে চান। এত বড় মাপের একজন অভিনেতা হওয়ার সত্বেও এসব ক্ষেত্রে আমিরের কোনও ইগো নেই। অন্য অভিনেতার অভিনয়ের সময়ে ও দিব্বি বসে থাকতে পারে।'


এরই সঙ্গে আরও একটি ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা। জানিয়েছেন, 'রং দে বাসন্তী' ছবিতে সুর দেওয়ার জন্য নাকি এ.আর রহমান মোটেই তাঁর প্রথম পছন্দ ছিলেন না। তিনি সঙ্গীত পরিচালক পিটার গ্যাব্রিয়েলকে নাকি প্রায় ঠিকই করে ফেলেছিলেন ছবিতে সুর দেওয়ার জন্য। তবে, তাঁর মন বলছিল, এই ছবির জন্য তাঁর এ.আর রহমানের সঙ্গেই কাজ করা উচিত। সবশেষে এটা উল্লেখ করতে ভোলেননি পরিচালক যে, আমির খানের জন্যই সময়মতো ছবির শ্যুটিং শেষ করতে পারেন তিনি।