কমলকৃষ্ণ দে, গলসি: দিনের আলোয় রাস্তার ধারের হাজারের বেশি গাছ কেটে নেওয়া হল। টনক নড়েনি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের। গ্রামবাসীরা বিডিওকে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৫ জনকে। পূর্ব বর্ধমানের গলসির ঘটনা।


উষ্ণায়ণের বিপদ গোটা বিশ্বের মাথাব্যথা। জীবন রক্ষায় গাছ লাগানো ও গাছ বাঁচানোর ওপর জোর দিচ্ছেন পরিবেশপ্রেমীরা। পরিবেশ নিয়ে এত উদ্যোগ, সচেতনার মধ্যেও ১০ কিলোমিটার রাস্তার দু’ধারে হাজারের বেশি গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গলসি থেকে শিকারপুর এফসি রায় রোডের দুপাশে কেটে ফেলা হয়েছে হাজারের বেশি সোনাঝুরি, শিরিষ, বাবলা গাছ।  


অভিযোগ, গত ৫ জুলাই থেকে ১১ই জুলাইয়ের মধ্যে রাস্তার দুধারে থাকা সমস্ত গাছ কেটে নেওয়া হয়। গাছ কেটে নেওয়ায় একাংশ গ্রামবাসী গলসী বিডিও অফিসে অভিযোগ জানায়।


এ নিয়ে গলসি ২ নম্বর বিডিও-র দফতরে অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। গলসী বিডিও গলসী থানাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন।  এরপর, গলসি থানার পুলিশ বুধবার বেআইনিভাবে গাছ কাটার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। 


গ্রামবাসীদের দাবি,প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন, রাস্তা চওড়া করার জন্য গাছগুলি কাটা হচ্ছে। পরে তাঁরা জানতে পারেন, গাছগুলি অনুমতি ছাড়াই কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।


যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা মসজিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অশোক বাউড়ি দাবি, কারা গাছ কেটেছে তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, যারা কেটেছে অনুমতি ছাড়াই কেটেছে। তবে কারা কেটেছে জানি না।


এপ্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি সহ সভাপতি রমণ শর্মা বলেন, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। তৃণমূলের কর্মীরা ছাড়া কেউ এইভাবে গাছ কাটতে পারে না।


এ প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে স্থায়ী সমিতির বৈঠকে পঞ্চায়েত প্রধানকে ডেকে পাটানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হবে, পঞ্চায়েতের নজর এড়িয়ে কীভাবে গাছ কাটা হল?