কলকাতা: এই সিরিজ কোনও গোয়েন্দা গল্প নয়, একজন পুলিশকর্মী। যাঁর চোখে অনেক স্বপ্ন, কিন্তু রাজনৈতিক ও পুলিশের অন্দরের বিভিন্ন পরিস্থিতি, পরিবেশ প্রতিমুহূর্তে চ্যালেঞ্জ করে তাঁর কাজকে। কেবল পর্দা নয়, বাস্তবেও দেখা মেলে এই পরিস্থিতির। সেই গল্পকেই পর্দায় তুলে এনেছেন পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী (Abhijit Chowdhury)।  সিরিজের নাম 'জনি বনি' (Johnny Bonny)। 


সবাই যখন গোয়েন্দা আর রহস্য গল্প বলায় ব্যস্ত, তখন পুলিশি সিরিজ আর দাবার পরিকল্পনা কেন করলেন অভিজিৎ? এবিপি লাইভকে পরিচালক বলছেন, 'বাস্তবে ফেলুদা বা ব্যোমকেশের মতো গোয়েন্দা চরিত্র দেখা যায় না। দেখা যায় পুলিশকেই। এই পেশায় অনেক মানুষ অনেক স্বপ্ন নিয়ে আসেন। কিন্তু বাস্তবে রাজনীতির দাবিদাওয়া ও পুলিশি নিয়মের সামঞ্জস্যের যাঁতাকলে পড়ে হারিয়ে যায় অনেক স্বপ্ন। 'জনি' সেই সমস্ত মানুষের প্রতিনিধি। আর দাবা হল এই গল্পে কৌশলের রূপক। কোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হলে কেবল শক্তি নয়, প্রয়োজন হয় বুদ্ধি আর কৌশলেরও। গল্পে বনি হল এমন একটা চরিত্র যে ছোট হলেও তার বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করে বনিকে।'


আরও পড়ুন: Swastika Dutta Exclusive: ব্যোমকেশ-সত্যবতী নয়, জনি আর আঁখিকে তুলনা করা হোক 'সিংঘম'-এর সঙ্গে


গোটা সিরিজ বোনা হয়েছে একটি নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে। রাজনীতি আর পুলিশের সম্পর্ককে সিরিজে তুলে ধরা কী সাহসিকতা নয়? অভিজিৎ বলছেন, 'আমি ছোট থেকেই বড় হয়েছি রাজনৈতিক পরিবেশে। দাদু মাষ্টারদা সূর্যসেনের সহকর্মী ছিলেন। এখন বর্তমান রাজনীতির সঙ্গে কেউ সরাসরি যুক্ত না থাকলেও রাজনৈতিক আলোচনা, সমাজ নিয়ে কথাবার্তা চলে সবসময়েই। তারই প্রভাব পড়েছে সিরিজে। ইচ্ছে রয়েছে 'জনি বনি'-কে একটা ফ্রাঞ্চাইজি হিসেবে তুলে ধরার। আর প্রতিটা গল্পই সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৈরি হবে, যেখানে জনি আর বনি সমাজের বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। সে রাজনৈতিক হোক বা অন্য কোনও দুর্নীতি।'


জনি হিসেবে দেবাশিস ইতিমধ্যেই প্রশংসিত। পরিচালক বলছেন, 'দেবাশিস ভীষণ মনোযোগী অভিনেতা। ও খুব ভালো করে চিত্রনাট্যকে আত্মস্থ করে শুধু তাই নয়, ও সেটাকে আরও ভালো করার জন্য চিন্তাভাবনাও করে।