কলকাতা: তাঁর চরিত্র পুলিশের স্ত্রীর। যাঁকে গোটা দিন লড়াই করতে হয় রাজনীতির সঙ্গে, অপরাধের সঙ্গে, তাঁর কাছে তিনি বসন্তের হাওয়া আসার খোলা জানলা। নামটিও বেশ জুতসই। আঁখি, নামে যেমন নজর রাখার আভাস, তেমনই রয়েছে প্রেমও। 'জনি বনি'-র গল্পে যেন এক টুকরো মন ভালো করা চরিত্র তিনি। স্বস্তিকা দত্ত (Swastika Dutta)।
ইতিমধ্যেই 'ক্লিক' ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে 'জনি বনি' সিরিজটি। কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন 'আঁখি' স্বস্তিকা? অভিনেত্রী বলছেন, 'দেবাশিস (মণ্ডল)-কে তো সবাই বাংলার 'জেমস বন্ড' বলছেন। এখনও পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া ভালোই। আমার চিত্রনাট্য পড়েই ভীষণ ভালো লেগেছিল। মনে হয়েছিল, এই কাজটার সঙ্গে যুক্ত না থাকতে পারলে কেরিয়ারের একটা বড় সুযোগ হারাব। আমায় পরিচালক (অভিজিৎ চৌধুরী) বলেছিলেন, প্রথম সিজিন ভালো প্রতিক্রিয়া পেলে 'জনি বনি'-কে ফ্রাঞ্চাইজি হিসেবে নিয়ে যাবেন। আমি অপেক্ষায় আছি তার।'
ব্যোমকেশের সত্যবতীর মতোই কী জনির আঁখি? স্বস্তিকা হেসে বললেন, 'এটা আমি সিরিজে অভিনয় করার সময় কখনও ভাবিনি। পরে প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে। তবে যে সময়ে সত্যবতীর চরিত্র লেখা হয়েছে, তখন তাঁর সমতুল্য কেউ ছিলেন না। এটা একটা পুলিশি সিরিজ, গোয়েন্দা নয়। তাই তুলনা করতে হলে 'সিংহম'-এর সঙ্গে তুলনা করা হোক, ব্যোমকেশ নয়। আঁখি আসলে জনি বা জনার্দনের জীবনের সেই শক্তি যার জন্য জনি বাইরে আরও ভালো কাজ করার প্রেরণা পায়। '
জনির প্রেরণা আঁখি হলে, আঁখি মানে স্বস্তিকার ব্যক্তিগত জীবনে আরও ভালো কাজ করার প্রেরণা করে? অভিনেত্রী বললেন, 'আমার বাবা-মা। সবসময়। আমি জীবনে যা যা করেছি, কখনও কিছুতে বাধা দেননি ওঁরা। কেবল ভুল হলে শুধরে দিয়েছেন। বাবা-মা সবসময় আমায় কাজ করার প্রেরণা গেয়, বরং আমিই একটু ঘরকুনো। কাজের পরে আমার কাছে পরিবার ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। আমাদের পেশাটা তো সবসময় একরকমভাবে চলে না, সেখানে জোয়ার ভাঁটা আসে। ভাঁটার সময় কে নৌকো নিয়ে বাঁচাতে আসছে সেটাই বড় কথা। আমার ক্ষেত্রে সেটা বাবা-মা। ওঁরা সবসময় আমায় ভরসা করেছেন। সব জায়গায়, সব কাজে আমি একাই যাই, একাই ঠিক করে ফিরি, কখনও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।'
'জনি বনি' দেখে তাঁদের প্রতিক্রিয়া? স্বস্তিকা বলছেন, 'বাবা মায়ের খুব ভালো লেগেছে। আরও একজন মানুষ প্রিমিয়ারের পরে বলেছিলেন, 'তুমি চরিত্রে থেকে অভিনয় করেছো, কম না, বেশিও না।' এই মন্তব্যটা আমার কাছে খুব- গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।'