কলকাতা: পুজোর সময় কাজের জন্য এই প্রথম কলকাতার বাইরে কাটবে তাঁর। শহর ছাড়ার আগে তাই বেশি করে মাছ খাওয়াচ্ছিলেন মা! পেশার তাগিদে সবসময় মেনুতে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখতে হয় তাঁকে। তবে আদ্যোপান্ত বাঙালি এই অভিনেতা ভালোবাসেন বিউলির ডাল আলুপোস্ত থেকে শুরু করে মায়ের হাতের ইলিশ মাছের কালো জিরে দিয়ে পাতলা ঝোল পর্যন্ত। এখনও সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে দিদার হাতের রান্না। একটি বিপণী সংস্থার জন্য অনুষ্ঠানে এসে এবিপি লাইভের সঙ্গে নিজের স্বাদের সাতকাহন ভাগ করে নিলেন অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়


শ্যুটিং করতে আপাতত রাজ্যের বাইরে আবীর। ছবির কাজে থাকলে বাড়ির কোন খাবারটা সবচেয়ে বেশি মিস করেন তিনি? অভিনেতা বলছেন, 'আমি সবসময়ই এমন খাবার পছন্দ করি যেটা মুখোরোচক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মতও হবে। যেখানে শ্যুটিং করতে যাচ্ছি, সেখানে চাইলেই ভালো ভালো খাবার পাব না। আজ আমি ব্রিটানিয়ার সৌজন্যে আমি ২ রকমের স্ক্যাক্স বানিয়েছি। সেগুলো একদিনে যেমন স্বাস্থ্যকর, অন্যদিকে মুখোরোচকও। শ্যুটিং শুরু করার আগে যদি এই শিল্পটা আরও ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করে ফেলতে পারি, তাহলে টিমের বাকি সবাইকেও চমকে দিতে পারব। তবে হ্যাঁ, বাড়ি থেকে দূরে গেলে আমি রোজকার সাধারণ খাবারটা খুব মিস করি। ডাল, ভাত আর মাছ।'


মাছে ভাতে বাঙালি। আবীরের প্রিয় খাবারের তালিকাও তেমনই। তবে মায়ের রান্নার ওপর বোধহয় সব বাঙালিরই আলাদা ভালোবাসা থাকে। মায়ের হাতের কোন পদটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ আবীরের? অভিনেতা বলছেন, 'আমার মা মাঝেমধ্যেই রান্না নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। সেইগুলোও বেশ ভালো লাগে আমার। আবার বিউলির ডাল, আলুপোস্ত, ইলিশ মাছের কালো জিরে দিয়ে পাতলা ঝোল তো পছন্দের তালিকায় রয়েছেই। কিন্তু আমার সবচেয়ে প্রিয় রাঁধুনি ছিলেন আমার দিদা। তবে উনি তো এখন আর নেই। দিদার হাতের বানানো মুড়িঘন্টের কথা ভাবলেই এখনও জিভে জল চলে আসে। ওই গন্ধ, ওই স্বাদ। আরও একটা প্রিয় রান্না ছিল ওঁর হাতের, দই কই। এমনকি দিদা মারা যাওয়ার পর ওনার হাতের আলুভাজার মত আলুভাজাও আমি আর কোথাও খুঁজে পাইনি। আসলে এনাদের রান্নার সঙ্গে তো ভালোবাসা আর স্নেহও মিশে থাকে। তাই রান্নার স্বাদটা যেন আরও বেড়ে যায়।'