কলকাতা: জোরকদমে শ্যুটিং চলছে। বৃষ্টিভেজা দিনে প্রেমে মজেছে রুপোলি পর্দার নতুন জুটি। যশ দাশগুপ্ত ও এনা সাহা। ব্যক্তিগত জীবন, বিতর্ক রয়েছে, কিন্তু নুসরত বিতর্কে মুখ খুলতে আপাতত নারাজ যশ। বরং এনার সঙ্গে 'চিনেবাদাম' খেতেই বেশি আগ্রহী তিনি। শিলাদিত্য মৌলিকের পরিচালনায়, এনা সাহার প্রযোজনায় বন্ধুত্বের নতুন অ্যাপ তৈরিকে কেন্দ্র করে জমে উঠছে যশ-এনার রসায়ন। 'চিনেবাদাম'-এর শ্যুটিং ফ্লোর থেকে এবিপি লাইভকে নিজের বদলে যাওয়ার গল্প শোনালেন পর্দার ঋষভ সেনগুপ্ত।


পুরনো দিনের মত একসঙ্গে বসে আড্ডার সময় কার্যত ফুরিয়েছে। ভার্চুয়াল পৃথিবীতে এখন নিজেদের মুঠোফোনেই সময় কাটাতে ব্যস্ত সবাই। পুরনো বন্ধুত্বকে ফিরিয়ে আনার গল্পই বলবে 'চিনেবাদাম'। নতুন চরিত্র নিয়ে কী কী আশা রয়েছে যশের? অভিনেতা বলছেন, 'এতদিন আমি একেবারে কমার্শিয়াল ছবি করেছি। চিনেবাদাম একেবারে অন্য ধারার একটা ছবি। শিলাদিত্য মৌলিক মানে পরিচালকের থেকে আমার প্রচুর আশা রয়েছে। উনি একেবারে অন্যভাবে কাজ করেন। আশা করছি এই ছবিটার মধ্যে দিয়ে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাব আমি। আর এনার সঙ্গে প্রথমবার জুটি বাঁধছি। সেটা নিয়ে আমি বেশ আগ্রহী।'



ছবির চরিত্র ঋষভ বিদেশে পড়াশোনা করে এসেছে। তার সঙ্গে 'চিনেবাদাম' এর যোগসূত্র কোথায়? যশ বলছেন, 'ছবির গল্পটা একটা অ্যাপ তৈরিকে কেন্দ্র করে। মানুষ বর্তমানে মোবাইল ফোন নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। কি করে সেই পুরনো দিনের মত বন্ধুত্ব ফিরিয়ে আনা যায় সেইটা নিয়েই গল্প এগোবে। তবে মানুষকে কাছে আনতে আনতে ঋষভ নিজে কীভাবে বদলে যায়, সেটা নিয়ে ছবিতে একটা আকর্ষণীয় ট্যুইস্ট আছে।'


ব্যক্তিগত জীবনে 'চিনেবাদাম' নিয়ে কোনও নস্ট্যালজিয়া রয়েছে যশের? অভিনেতা বলছেন, 'এখন তো চিনেবাদাম খাওয়ার চলটাই হারিয়ে গিয়েছে। ছোটবেলায় ট্রেনে বা সিনেমাহলে চিনেবাদাম বিক্রি হত। চিনেবাদামের সেই নস্ট্যালজিয়াকে নিয়ে, দুটো প্রজন্মকে নিয়ে খুব ভালোভাবে বাঁধা হয়েছে ছবির চিত্রনাট্যটা। গল্পটা একেবারেই আজকের দিনের। আমায় বা এনাকে নিজেদের চরিত্রের বাইরে গিয়ে কিছু করতে হচ্ছে না। আশা করছি এই নতুন জুটির কাজ দর্শকদেরও ভালো লাগবে।'


সোশ্যাল মিডিয়ায় কমবেশি ট্রোলিং সহ্য করতে হয় সবাইকেই। একাধিকবার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে যশেরও। কতটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটান যশ? ব্যক্তিগত জীবনে ট্রোলিং কী ছাপ ফেলে? যশ বলছেন, 'প্রত্যেকটা জিনিসেরই ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করা যায়। তবে সোশ্যাল মিডিয়া এখন কারও জীবন থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া যায় না। আমি তো একটু অন্যমনস্ক হলেই ফোন ঘাঁটি। আর ট্রোলিং! শুরুর দিকে খারাপ লাগত। তারপর ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যায়। যতক্ষণ সবকিছুর একটা সামঞ্জস্য থাকছে ততক্ষণ ট্রোলিং-কে আমি খুব একটা খারাপভাবে দেখি না। যদি মানুষের থেকে ভালো মন্তব্যের আশা করেন, তাহলে খারাপকে সহ্য ধরার ধৈর্য্যও থাকতে হবে।'