কলকাতা: এবার পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি। আর তাই, অন্যবারের থেকে এবারের পুজোটা একটু বিশেষ অরুণিমা ঘোষের কাছে। তবে ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সোনালি সময়। ছোটবেলার দুর্গাপুজো নিয়ে এবিপি লাইভের সঙ্গে আড্ডায় স্মৃতির ঝুলি উপুড় করলেন অভিনেত্রী।
ছোটবেলা দুর্গাপুজো মানেই একরাশ মজা আর দুষ্টুমি। অরুণিমা বলছেন, 'পুজোর সময় মামারবাড়ি যাওয়া হত। হৃষিকেশ পার্কের পুজোটা ছিল আমাদের পাড়ার পুজো। ওখানে নাগরদোলা এসেছিল। তখনও বাড়ি থেকে একা বেরনোর অনুমতি পাইনি। আমি বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে, এক দিদির সঙ্গে নাগরদোলা চড়তে চলে গিয়েছিলাম। আর হ্যাঁ ওই গোলাপি ক্যান্ডি.. কী যেন বেশ বলে.. বুড়ির চুল। ওইগুলো খেতে খুব ভালোবাসতাম। সেবার নাগরদোলা চড়ে, ক্যান্ডি খেয়ে তারপর ফিরলাম। ভাগ্য ভালো, কেউ টের পায়নি।'
কেবল ঠাকুর দেখা নয়, কে কটা ঠাকুর দেখেছে সেই প্রতিযোগীতাও চলত বন্ধুদের মধ্যে। অরুণিমা বলছেন, 'পুজোর ছুটির পর যখন স্কুল খুলত, বন্ধুদের মধ্যে আলোচনা হত, কতটা বেশি ঠাকুর দেখা যায়। কারণ বন্ধুদের মধ্যে প্রতিযোগীতা হত কে কতগুলো ঠাকুর দেখেছে। আমার মাথায় থাকত, একটা দুটো ঠাকুর অন্তত সবার থেকে বেশি দেখতেই হবে।'
এখনকার পুজোতে সবার আগে খাওয়া দাওয়ার পরিকল্পনা করেন অরুণিমা। বলছেন, 'পুজোর সময় বাঙালি খাবে না আর শাড়ি পরবে না হতেই পারে না। আমি তো আগে থেকে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর মেনু পরিকল্পনা করি। পুজোর সময় নো ডায়েট। তবে হ্যাঁ, পুজোর পর ফের জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করি।'
পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে অরুণিমার নতুন ছবি 'ষড়রিপু ২'। ছবিতে অরুণিমার বিপরীতে দেখা যাবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে। এছাড়াও এই থ্রিলার ছবিতে রয়েছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। ছবির পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন অয়ন চক্রবর্তী। আগামী ১০ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে 'ষড়রিপু ২'।