কলকাতা: প্রযোজনা এবং অভিনয়, চিনেবাদাম খেতে খেতে এই দুই ভূমিকাই দিব্যি সামলাচ্ছেন তৃষা ওরফে এনা সাহা। শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর নতুন ছবি 'চিনেবাদাম'-এর শ্যুটিং। এই ছবির হাত ধরেই নতুন জুটি পাচ্ছে টলিউড। এনার বিপরীতে এই ছবিতে দেখা যাবে যশ দাশগুপ্তকে। শ্যুটিংয়ের প্রথম শট দেওয়ার আগেই এবিপি লাইভের মুখোমুখি হয়ে পর্দার ও পর্দার বাইরের চিনেবাদামের নস্ট্যালজিয়া শোনালেন 'তৃষা'।


নতুন ছবি, নতুন জুটি, কতটা আশাবাদী অভিনেত্রী ও প্রযোজক? এনা বলছেন, 'আমার চরিত্রটা খুব সাদামাটা। যেমন আর ৫টা মেয়ে হয়, তেমনই। রোজকার জীবনের মত অভিনয় করা একদিকে যেমন কঠিন, অন্যদিকে ভালোলাগারও। এর আগে যশের সব বাংলা ছবির গান আমি শুনেছি। এসওএস কলকাতায় ওর সঙ্গে কাজও করেছি। তবে সেখানে আমাদের চরিত্র প্রেমিক প্রেমিকার ছিল না। এই প্রথম আমরা একে অপরের বিপরীতে অভিনয় করব, রোম্যান্টিক গানও থাকছে। দুজনেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।'


চিনেবাদাম মানেই ছোটবেলার নস্ট্যালজিয়া। নোনতা এই খাবারটিতে নিয়ে কোনও মিষ্টি স্মৃতি আছে এনার? হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বললেন, 'আমার মামারবাড়ি ডায়মন্ড হারবারে। সেখানে একবার সপরিবারে 'হোম অ্যালোন' ছবিটা দেখতে গিয়েছিলাম। সেসময় ওখানের সিনেমাহলে পপকর্ন পাওয়া যেত না। চিনেবাদাম আর মুড়ি পাওয়া যেত। আমরা সেটা খেতে খেতেই গোটা সিনেমাটা দেখেছি। শেষে লাইট জ্বলার পর দেখলাম, আমাদের পায়ের কাছে একটা চিনেবাদামের খোসার পুরু আস্তরণ হয়ে গিয়েছে। আমার চিনেবাদাম বলতে ওই দৃশ্য়টাই প্রথম মনে পড়ে।' আর চিনেবাদাম খেতে খেতে প্রেম? ঠোঁট উল্টে এনা বললেন, 'নাইন-টেন অবধি তো পড়াশোনা আর টিউশান, প্রেম করার সময়ই পাইনি। স্কুল শেষ হওয়ার পর আমার প্রথম প্রেম শুরু। তবে তার সঙ্গে কখনও চিনেবাদাম খাইনি। ড্রাইভে গিয়েছি প্রচুর।'


করোনা পরিস্থিতিতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিনোদন জগত। এই পরিস্থিতিতে প্রযোজনা কতটা বিপজ্জনক? এনা বলছেন, 'যদি নিজে আত্মবিশ্বাসী না হই, গোটা টিমকে সাহস দেব কী করে? আমরা, টিম চিনেবাদাম ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। আমি তেমনই একটা গল্প পছন্দ করেছি যেটা মানুষের ভালো লাগবে। মন প্রাণ দিয়ে, কঠিন পরিশ্রম করে কাজটা করার চেষ্টা করছি।


পর্দার তৃষার সঙ্গে বাস্তবের এনার মিল কতটা? অভিনেত্রী বলছেন, 'তৃষা খুব সাদামাটা একটা মেয়ে। ওর কাছে টাকা, সাফল্যের চেয়েও বেশি জরুরি খুশি থাকা। ও চায় না ওর প্রেমিক ওকে দামি উপহার দিক, বরং চায় ওকে একটু ঘুরতে নিয়ে যাক, সময় দিক। তৃষা খুব সহজে খুশি হয় আবার খুব অল্পেই কষ্ট পায়। এই গল্পটা একেবারেই এই প্রজন্মের। তবে হ্যাঁ, এনার সঙ্গে তৃষার একটা বড় মিল বল, দুজনেই ফোন অপছন্দ করে। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটাতে একেবারেই পছন্দ করি না আজকাল। আমার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখার জন্য একটা টিম আছে।'


সোশ্যাল মিডিয়ায় কমবেশি ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয় নায়ক নায়িকাদের। এই অভিজ্ঞতা রয়েছে এনারও। নিজেকে সামলান কী করে? এনা বলছেন, আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা সময় কাটাই না। তবে মাঝেমধ্যে খারাপ কমেন্ট চোখে পড়লে মনখআরাপ হয়। তবে যদি কিছু মানুষ খারাপ বলেন, কিছু মানুষ ভালোও বলেন। তবে এই সমালোচনাটা আমার ক্ষেত্রে নিজেকে আরও ভালো করে তুলতে সাহায্য করে। যারা আমায় দেখে বিরক্ত হয়, আমি তাই তাদেরও ভালোবাসি।'