কলকাতা: একই চরিত্রে নাচ, গান ও অভিনয়ের সুযোগ। চিত্রনাট্য শুনে রাজি হতে দেরি করেননি অভিনেত্রী? তারপর? তারপর শহরের মেয়ের রঘুনাথপুরের পানশালার নর্তকী হয়ে ওঠার গল্প। কেমন ছিল অঙ্কুশ হাজরা, বনি সেনগুপ্ত ও ঋতাভরী চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা? এবিপি লাইভে নতুন ছবি 'এফআইআর'-এর খুঁটিনাটি ভাগ করে নিলেন পর্দার শিউলি ওরফে ফলক রশিদ রায়।


চিত্রনাট্য পড়ার পর চরিত্রের জন্য কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন অভিনেত্রী? ফলক বলছেন, 'আমার চরিত্রটা এমন, যে একমাত্র গল্পের জায়গাটার বাসিন্দা। ফলক রঘুনাথপুরের আয়নার মত। তাঁর কথা বলা, হাঁটা চলা সবকিছুতেই বিশেষত্ব রয়েছে। আমি বাড়িতে সারাদিন কানে হেডফোন গুঁজে শিউলির মত কথা বলা অভ্যাস করতাম। করিনা কপূরের 'চামেলি' দেখে চরিত্রের কিছুটা আদল বুঝতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সম্পূর্ণ 'শিউলি'-র মত চরিত্র সত্যিই কোথাও খুঁজে পাইনি যে তাঁকে দেখে শিখব। তবে সুদীপ্তাদির কাছে করা ওয়ার্কশপটা খুব সাহায্য করেছে আমায়।'


রাজ চক্রবর্তীর 'পরিণীতা' ছবির হাত ধরে রুপোলি পর্দায় যাত্রা শুরু ফলকের। কেমন ছিল অঙ্কুশ, বনি, ঋতাভরীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা? উচ্ছসিত ফলক বলছেন, ' ওরা সবাই আমার থেকে অভিজ্ঞতায় বড়। আর সেটে অঙ্কুশদা ভীষণ মজা করত। কলেজের সিনিয়ারের মত আমায় রাগাত। তবে সবকিছুই হত একেবারে মজার ছলে। কেউ নিজের গন্ডি পেরত না। এখনও মনে আছে, একটা শট ছিল যেখানে আমি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে আছি। শট রেডি, আমি অজ্ঞান হওয়ার অভিনয় করছি। ঠিক তখন, ক্যামেরার পিছন থেকে অঙ্কুশদা হাসির কথা বলে যাচ্ছে। আমি ওদের কথা শুনে হেসে ফেলছি আর পরিচালকের কাছে বকুনি খাচ্ছি।' 


এমন দুজন অভিনেতার সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন, যাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রেমিকা রয়েছে। সেটা নিয়ে সেটে মজা হতো? হাসতে হাসতে ফলকের উত্তর, 'আমি নিজেই বিবাহিত। তাই অতটা মজা হত না। কেবল বনি আর আমার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় থাকলে বনিকে বলা হত, ভেবে নে ওটা কৌশানি। আর আমায় বলা হত, বনিকে নীল ভাবতে।'


দুই নায়িকা একই ছবিতে থাকলে তাঁদের নাকি সম্পর্ক ভালো হয় না। ঋতাভরীর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল ফলকের? অভিনেত্রীর স্পষ্ট উত্তর, 'এত ছোট মেয়ে এত ভালো কাজ করছে, ও তো আমায় সবসময় অনুপ্রেরণা দেয়। মেয়েরা মেয়েদের বন্ধু হতে পারে না এই ধারণাটাই খুব ভুল। কোনও মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, দাপটের সঙ্গে কাজ করলে আমি তাঁকে সম্মান করি সবসময়।'