কলকাতা: কমলকলির মনখারাপ। কথা বলে না। কিন্তু পর্দার বাইরে তাঁর মুখে ফুলঝুরি। ভূতের সিনেমায় অভিনয় করছেন অথচ ভূতে প্রচণ্ড ভয়! পর্দা আর বাস্তবের মধ্যে বিস্তর ফারাক। 'তরুলতার ভূত'-এর ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে লাল শাড়িতে ঝলমল করছিলেন পর্দার কমলকলি ওরফে ইশা সাহা। নিজের গম্ভীর চরিত্রকে পর্দায় দেখে সহ-অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে হাসিতে উপচে পড়ছিলেন অভিনেত্রী।


 


'প্রজাপতি বিস্কুট' থেকে শুরু করে 'সোয়েটার', 'তরুলতার ভূত', ক্যামেরা চালু হতেই ইশা চুপচাপ! কেবল অভিব্যক্তির মাধ্যমে অভিনয় করাটা কঠিন? ইশা বলছেন, 'আমার খুব মজাই লাগে। কারণ বেশি ডায়লগ মনে রাখতে হয় না। সবাই কথা বলে আর আমার খালি এক্সপ্রেশন দিলেই হয়ে যায়। তরুলতার ভূতে আমার চরিত্রটাই এইরকম। কমলকলির সঙ্গে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যাতে ও সবকিছুর থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়। গোটা গল্পটাই একদিনের। তবে আমি ক্যামেরার বাইরে এত কথা বলি, একটা ভারসাম্য থাকে।'



 


ভূতের ছবিতে এই প্রথমবার অভিনয়। ব্যক্তি ইশা কি ভূতে ভয় পান? হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বললেন, 'আমি বহুবার সবার সামনেই বলেছি, আমি ভূতে ভীষণ ভয় পাই। যেখানেই একটুও অন্ধকার দেখি, আমি আলো জ্বালিয়ে রাখি। আমি চাই না আমার কখনও কোনও ভৌতিক অভিজ্ঞতা হোক।' এই শ্যুটের সৌজন্যেই করোনা পরিস্থিতির পর শ্যুটিং করলেন অভিনেত্রী। কাজেই শ্যুটিংয়ের মধ্যেও যেন ছুটির আমেজ ছিল। ইশা বলছেন, 'বাসবদি (বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়), ইন্দ্রনীল (ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত) -এর সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। গোটা টিমটা আমার কাছে নতুন তবে অনেকেই আমার বন্ধু। বর্ধমানে শ্যুটিং-এ গিয়ে ভীষণ মজা হয়েছে। বাড়ি থেকে বাইরে, মা নেই। কেউ বকাবকি করছে না। ইন্দ্রনীল এত ভালোভাবে আমাদের দলের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন, কখনও বুঝতেই পারিনি উনি এতদিন ধরে কাজ করছেন আর এত বড় একজন অভিনেতা।'


 



 


সদ্য মুক্তি পাওয়া 'পিকনিক-এর গান'-এ ফুটে উঠেছে বন্ধুদের পিকনিতে যাওয়ার দৃশ্য। ইশার পিকনিকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে? অভিনেত্রী বললেন, 'পিকনিক নিয়ে শ্যুটিং করতে মজা লেগেছে। কিন্তু চরিত্রে ছিল না বলে মজাটা পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারিনি। তবে ছোটবেলায় অনেক পিকনিকে গিয়েছি। এখন তো সেইরকম পিকনিক আর হয়ই না। খুব মিস করি ছোটবেলার পিকনিকগুলো। এই সিনেমাটা করতে গিয়ে সেই অনুভূতিটা যেন পেলাম।'


 



 


করোনা পরিস্থিতির পর ফের স্বাভাবিক হচ্ছে বিনোদন জগত। সিনেমাহলেই মুক্তি পাচ্ছে বাংলা ছবি। ইশা বলছেন, '৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে সিনেমাহল খুলেছে। আপনাদের ভরসায় বাংলা ছবি আবার মুক্তি পাচ্ছে। রাস্তায় চলাফেরা করছি, ভিড় করে খেতে যাচ্ছি। সিনেমাহলে আসলে কোভিড হয়ে যাবে বলে আমার মনে হয় না।'