কলকাতা: শুরু থেকে শেষ, ছোটবেলায় পাড়ার পুজোয় সবসময় থাকতেন তিনি। অংশ নিতেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। তবে ছোটবেলার দুর্গাপুজোয় মজার সঙ্গে সঙ্গে মিশে থাকত দুষ্টুমিও। এখন পুজোর অর্ধেক কাটে কাজের চাপে। বাকি অর্ধেক পরিবারের জন্য তুলে রাখার চেষ্টা করেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। এবিপি লাইভকে পুজোর গল্প শোনালেন 'এফআইআর'-এর নায়িকা।
পাড়ায় পুজোয় সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকত মণ্ডপ। দুষ্টুমির বিশেষ সুযোগ পাওয়া যেত না। ঋতাভরী বলছেন, 'সকালের পুজো শেষ করে সবাই দুপুরবেলা বিশ্রাম নিতে চলে যেতেন। প্যান্ডেল ফাঁকা হয়ে যেত। তখন আমরা পাড়ার ছোটরা চুপি চুপি ঢুকে পড়তাম ক্লাবঘরে। সোজা পৌঁছে যেতাম মাইকের কাছে। তারপরেই পাড়ার মোড়ে লাগানো চোঙা মাইকে শোনা যেন কচি গলার আবৃত্তি। ক্লাবের ভিতরে আমরা তখন শারদ সংখ্যা খুলে যা খুশি তাই আবৃত্তি পড়ে চলেছি। প্রতিবারই সেইসব শুনে কোনও না কোনও বড় কেউ ছুটে আসতেন। তারপর আমাদের বকুনি দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিতেন। অবশ্য আমাদের শিক্ষা হত না। প্রতিবছর পুজোর দুপুরে এই দুষ্টুমিটা পাড়ার ছোটদের বাঁধা।
ক্লাস ৯ থেকেই অভিনয় জীবনের সঙ্গে যুক্ত ঋতাভরী। 'ওগো বধূ সুন্দরী' ধারাবাহিকের হাত ধরে প্রথম অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি। নায়িকা বলছেন, 'খুব অল্প বয়স থেকে অভিনয় করছি। পুজোর সময় হামেশাই পুজো উদ্বোধন, পুজো পরিক্রমা থাকত। প্রথম প্রথম খুব ভালো লাগত। তবে এখন মনে হয়, পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাই। পুজোয় কখনও কাউকে দেখে ভালো লাগবে সেই সুযোগ আমি পাইনি। বড় হওয়ার আগেই অভিনয় করছি যে।'
এবারের পুজোয় অষ্টমী, নবমী ও দশমী পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চান ঋতাভরী। গাড়িতে করে ঠাকুর দেখতে বেরতে চান, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া আর দেদার মজা। পুজোর কটা দিন ঋতাভরী রুপোলি পর্দার নায়িকা নয়, বাড়ির মেয়ে হয়েই কাটাতে চান।