কলকাতা: বাড়িতে রোজ হাজির হয় নতুন পাঞ্জাবি, সঙ্গে রঙ মিলিয়ে চশমা। আবদার, সেই নতুন পোশাক পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করতে হবে। বিয়েবাড়িতে হাজির হলে নাকি সেলফি তোলার অনুরোধ করে খোদ কনে বউ। উপহার নয়, কেবল একটা সেলফি তুলতে হবে, আর বলতে হবে 'ও লাভলি'। বিয়ের প্রথম বছরে জামাইষষ্ঠী সারতে গিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়িতে। সেই প্রথম আর সেই শেষ। তবে জামাইষষ্ঠী এলেই নাকি আবার বিয়ে করতে, নতুন জামাই সাজতে ইচ্ছা করে মদন মিত্রর!
আজ জামাইষষ্ঠী। কুঁচি দেওয়া ধুতি আর নতুন পাঞ্জাবি পরে জামাই সাজবেন মদন মিত্র। তবে তাঁর গন্তব্য শ্বশুরবাড়ি নয়, গোসাবা। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ত্রাণ বিলি করতে যাবেন কামারহাটির বিধায়ক। তার আগে এবিপি লাইভকে মদন বললেন, 'জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়ি গেলে বউয়ের মুখে হাসি ফুটবে। কিন্তু ত্রাণ নিয়ে গেলে মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। সেটা অনেক বেশি জরুরি আমার কাছে।'
প্রথমবার জামাইষষ্ঠীর স্মৃতি বলতে কী মনে পড়ে? মদন বলছেন, 'আমি বিয়ের পর প্রথম বছর শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম কেবল। মা বলেছিলেন, প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি না গেলে অমঙ্গল হয়। তারপর থেকে আর যাইনি। প্রতিবার এই দিনটায় টিফিন বক্স করে শ্বশুরবাড়ি থেকে খাবার আসে। তবে হ্যাঁ, যারা নতুন নতুন বিয়ে করেছেন অথবা একাধিক বার বিয়ে করেছেন, তাদের কাছে জামাইষষ্ঠীর একটা নতুনত্ব থাকে বটে। আমার একটাই বিয়ে, একটাই দল। তাই জামাইষষ্ঠীতে আর কিছু নতুনত্ব নেই। কিন্তু হ্যাঁ, প্রতিবার জামাইষষ্ঠীর দিনটায় আমার আবার নতুন করে বিয়ে করতে ইচ্ছা করে। নতুন জামাই সাজতে ইচ্ছা করে। এই বয়সে বিয়ে করা আর সম্ভব নয়, তবে এখনও যদি কেউ জামাইষষ্ঠীতে আমায় খেতে ডাকে, আমি অবশ্যই যাব।'
রোজই নতুন নতুন পোশাক আছে তাঁর বাড়িতে। সেই সমস্ত পোশাক পরে নতুন ছবি আপলোড করার আবদার মেটান মদন। হাসতে হাসতে বললেন, 'অনেক জামাই রয়েছে, তবে কার এমন করে ৩৬৫ দিন জামাই সাজার সুযোগ আসে জানি না। এখনও আমি জামাই সেজে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে লাইভ করলে টিআরপি কিছু কম পাব না।'