কলকাতা: পাড়ার পুজোয় চাঁদা তুলতে যাওয়া থেকে শুরু করে নবমীর ভোগ, দশমীর বিসর্জন। সব কিছুতেই যুক্ত থাকতেন তিনি। পাড়ায় চাঁদা তুলতে বেরিয়ে মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন কেউ কেউ। কখনও আবার বাড়ির ভিতরে ডেকে মিষ্টি খাওয়ার সুযোগও মিলেছে। আর নতুন জামার গন্ধ মাখা আনন্দ তো ছিলই। সময় বদলেছে। সব কাজ সরিয়ে পুজোর চারটে দিন এখন ছুটি কাটাতে ভালোবাসেন সঙ্গীতশিল্পী বিক্রম ঘোষ।


ছোটবেলার পাড়ার পুজোর পরিবেশটা ঠিক কেমন ছিল? বিক্রম বলছেন, 'ছোটবেলার পাড়ার পুজোর প্রথম কাজ ছিল চাঁদা তুলতে যাওয়া। পাড়ায় চাঁদা তুলতে বেরিয়ে মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন কেউ কেউ। কখনও আবার বাড়ির ভিতরে ডেকে মিষ্টি খাওয়ার সুযোগও মিলেছে। পুজোর প্যান্ডেলের কাজ থাকত, নবমীর দিন ভোগ খাওয়া, অষ্টমীর অঞ্জলির ও.. আরও কত কি। আর হ্যাঁ, নতুন জামা পরে প্যান্ডেলে যাওয়া, আর চেষ্টা করা নিজেকে কতটা ভালো দেখানো যায়। তবে এখনকার পুজোটা কাটে অন্যরকমভাবে। অত ভিড় হৈ হুল্লোড় এখন আর ভালো লাগে না। পুজোর চারটে দিন আমার ছুটি। বাড়িতে সময় কাটাই, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করি। সারা বছর কাজের এতটা চাপ থাকে যে ওই ৪ দিন বিশ্রাম নিতেই ভালো লাগে।'


পুজোর একটা ঘটনার কথা এখনও মনে পড়ে বিক্রমের। তখনও খ্য়াতির আলো দেখেননি তিনি। তৈরি পোশাক কিনে পরার চল ছিল না অতটা। দর্জির কাছে গিয়ে পোশাক বানানোতেই অভ্যস্ত ছিলেন সবাই। বিক্রম বলছেন, 'সেই বছর পুজোয় বেল বটম প্যান্ট খুব জনপ্রিয় হল। আমাদের বাড়ার কবীর রোডে দর্জি বসত তখন। তার কাছ থেকে একটা বেল বটম প্যান্ট বানানো হল আমার জন্য। নতুন প্যান্ট পরে প্রথম দিন পাড়ার মণ্ডপে ঢুকতে গিয়েই পায়ে জড়িয়ে পড়ে গেলাম। প্রচণ্ড লজ্জা পেয়েছিলাম। সেই পুজোয় তারপর আর পাড়ার মণ্ডপে ঢুকতে পারিনি।'