কলকাতা: অনেক বিদেশি খাবার চেখে দেখার পরেও, তাঁর পছন্দ কিন্তু বাঙালি খাবার। ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে রয়েছে ডাল, ভাত উচ্ছে ভাজার মত সাদামাটা খাবারের ছবি। শুধু কি তাই, বাঙালি এই সঙ্গীতশিল্পীর গানের সুরেও শোনা গিয়েছে, 'আমি ওবেলার ডাল ভাতে ফুরিয়ে গেছি'।


তবে জামাইষষ্ঠীর খাওয়াটা কিন্তু একেবারেই ডালভাতে সারবেন না অনুপম রায়। মেনুতে প্রতিবারের মত থাকবে পোলাও, সঙ্গে পাঁঠার মাংসের মত জিভে জল আনা সমস্ত পদ।


সামনেই জামাইষষ্ঠী। এই দিনটা প্রতি বছর শ্বশুরবাড়িতেই কাটে অনুপমের। তবে প্রথমবারের অভিজ্ঞতাটা ছিল বেশ অন্যরকম। অনুপম বলছেন, 'আমার শ্বশুরবাড়িতে তেমন কোনও লোকাচার নেই। সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া, গল্প করেই দিনটা কাটাই। তবে প্রথমবার জামাইষষ্ঠীতে যাওয়ার সময় একটা উত্তেজনা ছিল। সব কিছু নতুন নতুন। কী ভাবে পালন করা হবে দিনটা। এখন অবশ্য সবটাই বেশ সাবলীল হয়ে গিয়েছে। সবাই মিলে একসঙ্গে বসে গল্প করি। আর খাওয়া দাওয়া তো আছেই।'


শ্বাশুড়ির হাতের সবচেয়ে পছন্দের রান্না কী? 'পোলাও', সঙ্গে সঙ্গে উত্তর অনুপমের। তারপর বললেন, 'আমি সাধারণত সবই খেতে ভালোবাসি। নিরামিষ রান্নায় আমার ছানার ডালনা, মোচা যতটা প্রিয়, ঠিক ততটাই প্রিয় পাঁঠার মাংস আর ইলিশ। আমার পছন্দ অনুযায়ীই রান্না হয় ওই দিনটায়।' গতবছর করোনার প্রকোপে কার্যত স্তব্ধ ছিল জীবনযাত্রা। তাই গতবছর শ্বশুরবাড়িতো জামাইষষ্ঠীর আড্ডার মজলিশ বসেনি অনুপমদের। সঙ্গীতশিল্পী বলছেন, 'গতবার করোনার জন্য জামাইষষ্ঠী করতে যেতে পারিনি। শ্বশুর-শাশুড়ির বয়স হয়েছে তাই যাওয়াটা বাতিল করেছিলাম। তবে তাতে জামাই আদরে খামতি হয়নি। সমস্ত রান্নাবান্না পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ওনারা।'


সম্প্রতি ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ দিতে গিয়েছিলেন অনুপমরা। অন্যদিকে জোরকদমে চলছে অনুপম, পরমব্রত, পিয়া, ঋদ্ধিদের অক্সিজেন হাসপাতাল ও মোবাইল অক্সিজেন পরিষেবাও। মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েও যেন মনে মনে অতৃপ্ত অনুপম। বলছেন, 'ত্রাণ একটা সাময়িক সামাধান। উপকূলবর্তী জেলায় যে সমস্ত মানুষরা বসবাস করেন তাঁদের একটা স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন।'