কলকাতা: তিনি দর্শক ও শ্রোতা মহলে তাঁর সঙ্গীত পরিচালনার (Music Director) জন্য খ্যাত। বাংলা সিনে দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই একাধিক কাজ করেছেন। তিনি সঙ্গীত পরিচালক রণজয় ভট্টাচার্য (Ranajoy Bhattacharjee)। তবে এবার তাঁর খ্যাতির মুকুটে নতুন পালক যোগ হতে চলেছে। নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন রণজয়। তাঁকে সাধারণ মানুষ এবার কবি (poet) হিসেবে চিনতে পারবেন। এই নিয়ে কথা বললেন এবিপি লাইভের (ABP Live Exclusive) সঙ্গে।
কবি রণজয় ভট্টাচার্যের আত্মপ্রকাশ
গতকাল নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে রণজয় ভট্টাচার্য লেখেন, 'আগামীকাল একটি অন্যরকম ভালো খবর নিয়ে আসছি। নতুন কিছু জীবনে এই প্রথমবার...। তোমরা সঙ্গে থাকলে খুশি হব।' কিন্তু কী সেই 'অন্যরকম ভালো' খবর? তাঁর পোস্টে সকলের প্রশ্নের বন্যা। খোঁজ নিতে তাঁকে ফোনে ধরেছিল এবিপি লাইভ। নিজের নতুন বই নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই শখে লেখালেখি করেন রণজয়। আশেপাশে যা ঘটছে, যা কিছু মনে দাগ কাটছে তাই ডায়েরিবন্দি করতেন তিনি। এবার সেই লেখাগুলিই নিয়েই সংকলিত বইয়ের আকারে প্রকাশ করতে চলেছেন রণজয় ভট্টাচার্য। প্রকাশনা সংস্থা 'অক্ষর সংলাপ প্রকাশন'-এর তরফে এই বই বের হবে।
রণজয়ের কথায়, 'ওই প্রকাশনা সংস্থার তরফে আমাকে প্রথম জানানো হয় যে ওরা আমার লেখা নিয়ে বই প্রকাশ করতে চায়। কিন্তু আমি তো বই ছাপা হবে সেরকম কোনও কিছু ভাবিনি। গান ছাড়া বাকি যা লিখেছি তা আদৌ ছাপার যোগ্য কিনা তাও জানি না। তবে অভয় ওরাই দেয়। আমাকে নতুন ভাবে দর্শকের সামনে নিয়ে আসার ভাবনাটা ওদেরই মূলত। সবটাই ওরা দায়িত্ব নিয়ে সামলেছে।'
স্কুলজীবনে মূলত, নবম-দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় লেখা বেশ কিছু কবিতা থেকে ঝাড়াই-বাছাই করে তৈরি হয়েছে তাঁর প্রথম কবিতার বই। বইয়ের নাম 'বছর কুড়ি আগের'। এই বইয়ের মাধ্যমে, এই কবিতাগুলির মাধ্যমে অল্প বয়সের রণজয়কে চিনতে পারবেন তাঁর অনুরাগীরা। নবীন কবি বলেন, 'আমার বহু পুরনো বেশ কিছু লেখা নিয়ে, পুরনো আমি কীরকম ছিলাম, সেটার একটা কালেকশন বলতে পারেন। আজ থেকে প্রায় কুড়ি-বাইশ বছর আগের লেখা সব। কিশোর বয়সে যা যা জিনিস মানুষকে প্রভাবিত করে সেইসবই প্রধানত কবিতাগুলির বিষয়বস্তু।'
আরও পড়ুন: Mamata on Arijit Singh:অরিজিৎ মা মাটি মানুষের লোক, ও হাসপাতাল করলে সাহায্য করব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বই প্রকাশের তারিখ এখনও নির্দিষ্ট করে ঠিক না হলেও কলকাতা বইমেলাতেই প্রকাশ পাবে বলে জানালেন রণজয়। সবশেষে 'কবি' বলেন, 'নিজের মনের ভাবনাকে এক জায়গায় লিখে রাখতাম অভ্যাসের বশে। লেখক হওয়ার কোনও সেরকম ইচ্ছা কখনওই ছিল না। তবে আমি বেশ মজা পেয়েছি। আমার হারানোর তো কিছুই নেই, বরং মানুষ আমাকে নতুনভাবে পেয়ে কেমন প্রতিক্রিয়া দেন সেটা আমার পাওনা হবে।' আপাতত নিজের প্রথম বই নিয়ে বেশ উত্তেজিত রণজয় ভট্টাচার্য। জীবনের নতুন পদক্ষেপে তাঁর জন্য রইল এবিপি লাইভের শুভেচ্ছা।