কলকাতা: 'বেঁচে থাকার গান' শুনিয়েছিলেন যিনি, মারণ ভাইরাস রেহাই দেয়নি তাঁকেও। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন অনুপম রায়। বাড়িতেই আইসোলেশানে ছিলেন তিনি। কোভিডকে হারিয়ে আপাতত সুস্থ সঙ্গীতশিল্পী। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন করোনা আক্রান্ত মানুষদের দিকে। ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার। কাজেই করোনা থেকে সেরে উঠেও, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন অনুপম।


কেমন করে সংক্রমিত হলেন তা স্পষ্ট নয় সঙ্গীতশিল্পীর কাছে। কিন্তু নিভৃতবাসের স্মৃতি এখনও টাটকা। এবিপি লাইভকে অনুপম বলছেন, 'অল্প জ্বর ছিল, সঙ্গে কাশি। সেইসঙ্গে মাথা ব্যথা। কয়েকদিন পরেই স্বাদ-গন্ধ চলে যায়। করোনার এই উপসর্গের কথা আগেই শুনেছিলাম। চিকিৎসকের কথামতোই টেস্ট করাই। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর ঘরবন্দি। পিয়া (পিয়া চক্রবর্তী) অবশ্য নেগেটিভ। তাই সতর্ক থাকতে হয়েছিল ভীষণ।' একই ছাদের তলায় আলাদা আলাদা ঘরে থাকতে হয়েছে অনুপম-পিয়াকে। কেমন করে সময় কাটত? হাসতে হাসতে অনুপম বললেন, 'সে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। ভিডিও করে পিয়ার সঙ্গে কথা বলছি, অথচ আমার ঘরের দরজা সবসময় বন্ধ। সব কাজ নিজেকে করতে হয়েছে। তবে আমি বাড়িতে থাকতে ভালোবাসি। তাই খুব একটা সমস্যা হয়নি আমার। বই পড়েছি, সিনেমা দেখেছি। আর হ্য়াঁ, নতুন গানও লিখেছি।'


করোনা দ্বিতীয় ঢেউ অনেককেই আতঙ্কিত করে তুলছে। কেবল আতঙ্কেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যাচ্ছে অনেকের। অভয় দিয়ে অনুপম বলছেন, 'করোনা নিয়ে অযথা আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। তবে হ্যাঁ প্রয়োজনীয় সুরক্ষাবিধি মেনে চলা অবশ্যই জরুরি। বেশিরভাগ মানুষ বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে যেটা দরকার সেটা হল নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। যে কোনও রকম সমস্য়া হলেই চিকিৎসককে জানান।' করোনাকালে কী কী নিয়ম মানতে হয়েছিল তাঁকে? অনুপম বললেন, 'আমি সাধারণ খাবারই খেতাম। ওআরএস খেতাম আর সেইসঙ্গে ওষুধ। কোনওরকম শরীরচর্চা করা বারণ ছিল। আর হ্যাঁ, প্রচুর ঘুমিয়েছি।'


করোনাকালে অনেকেই একটা ঘরে বন্দি থাকতে গিয়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। তাঁদের জন্য অনুপমের টিপস, 'একটু ধৈর্য ধরুন। নিজের পছন্দের কাজ করার চেষ্টা করুন। কয়েকটা তো দিন.. তারপরেই মুক্তি।'