মুম্বই: ABP Southern Rising Summit 2025-র এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। ফেলে আসা দিনের অসামান্য অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন তিনি। তাঁর সুরেলা কণ্ঠের পিছনের লুকিয়ে থাকা একগুচ্ছ চড়াই-উতড়াইয়ের ঘটনাও মনে করলেন বিশেষ সাক্ষাৎকারে।
আরও পড়ুন , অত্যাচারে পালিয়ে আসতে হল! স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা বলিউড নায়িকার, ৫০ কোটির ক্ষতিপূরণ দাবি
কত অল্প সময়ের ব্যবধানে অসংখ্য গান গেয়েছেন, এই নিয়ে যখন কথোপকথন চলছে, মন দিয়ে শুনছেন সবাই, তখন দর্শকদের সঙ্গে আলাপচারিতা করতে মোটেই ভুললেন না। মিষ্টি হেসে সবাইকে 'হ্যালো' করলেন কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। দীর্ঘ ৫৫ বছরের সময়কালে, ৪৫ টি ভাষায় প্রায় ২০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কবিতা কৃষ্ণমূর্তির কথায়, 'আমি শুধু সিনেমার গানই গাইনি, ভজন, গজলও গেয়েছি। কিছু জিঙ্গলেও আমি কাজ করেছি।' বিশেষ সাক্ষাৎকারে, শ্রীদেবীর লিপে গাওয়া 'হাওয়া হাওয়াই' গানের স্মৃতি রোমন্থন করলেন তিনি। পাশাপাশি মিউজিক ডিরেক্টরের সঙ্গে সেই অসামান্য অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন তিনি। মিষ্টি হেসে বললেন, ' রিহার্সাল রুমে সামনে সিরিয়াসভাবে জাভেদ আখতার, লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলাল বসে আছেন। সেবার খুব নার্ভাস ছিলাম..'।
বছরটা ১৯৯৪। রবিনা ট্যান্ডনের লিপে তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত, এই গানটাও ভোলার নয়। কবিতা কৃষ্ণমূর্তির কথায়, সেই সময় তো সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। তাই আমরা গায়িকারা, সিনেমার পর্দার পিছনেই রয়ে যেতাম। আমি অনেক কাজ করেছি। কিন্তু এখনকার মত, তখন কিন্তু সাধারণ মানুষ সরাসরি দেখতে না পাওয়ায়, আমাকে জেনেই উঠতে পারত না।..আমি বহু আইকনিক ডান্স বেসড গান গেয়েছি। কিন্তু এখানে একটা অবাক করার মতো বিষয় হল, আমি যার জন্য ইশ্বরকে ধন্যবাদ না দিয়ে থাকতে পারছি না যে, আমি এই যে আইটেম সং গুলি গাওয়ার কাজ পেয়েছিলাম, মূলত এই ধরণের গানগুলি গাওয়ার জন্যই মানুষ আমায় চিনেছে। যদিও যেগুলি আমার শান্ত স্বভাবের সঙ্গে পুরোপুরিই বিপরীত !'
মিউজিক ডিরেক্টর ইসমাইল দরবারের সঙ্গে 'হাম দিল দে চুকে সনাম' এবং 'দেবদাস'- এ কাজ করার অভিজ্ঞতাও অতুলনীয়। কিংবদন্তির কথায়, 'সব মিলিয়ে, আমি শুধুই তাঁর সঙ্গে তিনটে ছবিতে কাজ করেছি। কিন্তু আমি মনে করি, এটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম কাজ।' তিনি বলেছেন, গান নিয়ে সবসময়ই তিনি গবেষণা চালিয়ে গিয়েছেন। এর মধ্যে 'হম দিল দে চুকে সনাম'-এর টাইটেল সং-এ একটা বিশেষ অ্যাকসেন্ট ছিল। 'বোম্বে' ছবির গানও ছিল বেশ ব্যতিক্রমী। বোম্বের সেই আইকনিক সং, 'তুহি রে।' স্কেলের দিক থেকে যেনও এক পাহাড়ের চূড়ায় ভ্রমণ। তাই সেই শিখে নেওয়ার তালিকায় এআর রহমনের কথাও মনে করেছেন তিনি।
বিশেষ সাক্ষাৎকারের মাঝে উঠে এল, তাঁর জীবনের অন্যতম প্রতিবন্দকতা- সাইনাসের সমস্যা। তাঁর সারাবছরের সঙ্গী, সর্দি-কাশি। বিশেষ বিশেষ গানে কীভাবে তাঁর নাক ভুগিয়েছে, বলেন তিনি। তবে তিনি যে কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, তাই প্রতিবন্দকতা এলেও কখনও হার মানেনি এবং কোনও মিউজিক ডিরেক্টরকে হতাশ করেননি তিনি।