সম্প্রতি পায়েল টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ট্যাগ করে একটি পোস্ট করেন। পায়েল লেখেন, পাঁচ বছর আগে নিজের বাড়িতে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন অনুরাগ। ওই অভিনেত্রী এ-ও অভিযোগ করেন, কুপ্রস্তাব দেওয়ার পর পায়েল তা প্রত্যাখান করায় অনুরাগ ‘অশালীন’ শব্দ ব্যবহার করে বলেছিলেন, ‘একটা ফোন করলেই হুমা, রিচা এবং মাহি চলে আসবে।”
এর পরেই পায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে অনুরাগকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে শুরু করেন কঙ্গনা। চুপ করে থাকেননি অনুরাগও। প্রধানত কঙ্গনার উদ্দেশে তিনি টুইটারে লেখেন, ‘‘দারুণ ব্যাপার যে আমাকে চুপ করানোর চেষ্টা করতে এত সময় লেগে গেল। সে না হয় ঠিক আছে। কিন্তু আমাকে চুপ করানোর জন্য এত মিথ্যে বলতে হচ্ছিল যে নারী হয়ে অন্য এক নারীকে সেই মিথ্যেয় শামিল করতে হল। ম্যাডাম, অন্তত একটু শালীনতা বজায় রাখুন। আমি শুধু এইটুকুই বলব যে, যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে, সবই ভিত্তিহীন। আমাকে কালিমালিপ্ত করতে গিয়ে আমার কলাকুশলী, এমনকি বচ্চন পরিবারকে টেনে আনাটাও মোটেই বুদ্ধির কাজ হয়নি!’’ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতিও দেন অনুরাগ। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন স্ত্রী কল্কি কোয়চলিনও।
মামলা রুজু করার পর শনিবার পায়েল নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন, 'আমি একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আরও রয়েছে। অথচ আমায় ক্রমাগত জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। কার্যত আমায় জেরা করা হচ্ছে। আর আসল দোষী বাড়িতে বসে আরাম করছে!' ট্যুইটে নরেন্দ্র মোদি, পিএমও ও অমিত শাহকে ট্যাগ করেন তিনি। জানতে চান, তিনি কি ‘ন্যয় বিচার’ পাবেন? পশ্চিমবঙ্গে সুশান্ত সিং রাজপুতের সমর্থনে বেরনো মিছিলের উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও জানতে চেয়েছেন, কেন তাঁর বেলায় সমর্থনের অভাব!