শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেতা মনোজ কুমার। এক সময় ভারতীয় সিনেমাকে সমৃদ্ধ করেছে তাঁর অভিনয়। একাধির দেশাত্মবোধক ছবিতে দাগ কেটেছে তাঁর অভিনয়। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও প্রশংসা কুড়িয়েছে মনোজ কুমারের ছবি। একসময় দেশাত্মবোধক চলচ্চিত্রের জন্য তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। তাঁকে অনুরাগীরা ভালবেসে ডাকতেন 'ভারত কুমার'। ৮৭ বছর বয়সে কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী। খবর এএনআই সূত্রে।
বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন মনোজ কুমার । হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল, খবর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ সূত্রে। শুক্রবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মনোজ কুমার তার দেশাত্মবোধক চলচ্চিত্রের জন্য বিশেষ পরিচিত । তাই একসময় বলিউডে তাঁর পরিচিতি ছিল'ভারত কুমার' নামে ।
অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক মনোজ কুমারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্রজগতের অনেকেই । পরিচালক অশোক পণ্ডিত একটি ভিডিও পোস্ট করে সকাল বেলাই এই দুঃসংবাদ ভাগ করে নেন। বলেন, "... দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার বিজয়ী,মহান অভিনেতা মনোজ কুমার আমাদের অনুপ্রেরণা । ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের 'সিংহ' মনোজ কুমারজি। তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই... ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি বিশাল ক্ষতি এবং সমগ্র ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে মিস করবে..."
মনোজ কুমারের আসল নাম হরিকৃষ্ণ গিরি গোস্বামী। ১৯৩৭ সালের ২৪ জুলাই জন্ম। "শহীদ" (1965), "উপকার" (1967), "পূরব অর পশ্চিম" (1970), এবং "রোটি কাপড়া অউর মকান" (1974) ইত্যাদি দেশাত্মবোধক ছবির জন্য তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পরপর এ ধরনের ছবিতে খ্যাতির পর ভক্তরা তাঁকে ভালবেসে ডাকতে শুরু করে 'ভারত কুমার' নামে। এছাড়াও, তিনি "হরিয়ালি অর রাস্তা", "ওহ কৌন থি", "হিমালয় কি গোদ মে", "দো বদন", "পাত্থর কে সনম", "নীল কমল" এবং "ক্রান্তি" এর মতো উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় ও পরিচালনা করেছেন। তাকে শেষবার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল ১৯৯৫ সালে 'ময়দান-এ-জং' ছবিতে।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।