কলকাতা: বাংলা গান আর শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এক সোনালি আকাশে সন্ধ্যা ঘনাল। নিভল আলো। চলে গেলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সকলেই। ট্যুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, 'নক্ষত্রপতন, ছন্দপতন... গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সকল কাছের মানুষের জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল।'


[tw]






লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) পরেই সুরলোকে পাড়ি দিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay)। তাঁর প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন বাংলা, দেশ তথা প্রতিবেশী দেশগুলোও। সঙ্গীতজগতের আরও এক নক্ষত্রপতন হল আজ। তাঁর প্রয়াণে ভারাক্রান্ত মন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। 


এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupa) প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, 'ছোটবেলা থেকে যাঁর কণ্ঠ হৃদয় স্পর্শ করেছে বার-বার, তিনি হলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। 'এই পথ যদি না শেষ হয়', 'এ শুধু গানের দিন', 'ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা'... আরও কত কত ওনার গাওয়া আধুনিক বাংলা হান শুনে আমাদের বড় হয়ে ওঠা। সঙ্গীত জগতের নক্ষত্রপতন ঘটলো আজ। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি। যেখানেই থাকবেন ভালো থাকবেন।' 


সঙ্গীত জগতে আবার ইন্দ্রপতন! প্রয়াত গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কোভিডকে হারালেও, জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন ৯০ বছরের কিংবদন্তী। ২৭ জানুয়ারি থেকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, আজ হঠাৎ করেই শিল্পীর রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের অংশে নতুন করে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। 


সন্ধে সাড়ে সাতটায় চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন বাংলা সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রথম শিক্ষাগুরু ছিলেন যামিনী গঙ্গোপাধ্যায়। ছ’বছর তাঁর কাছে তালিম নিয়েছিলেন তিনি। বেগম আখতার নিজের হাতে তানপুরা বাঁধতে শিখিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের কাছে সঙ্গীতশিক্ষা নিয়েছেন। সিনেমার গানের পাশাপাশি লোকসঙ্গীত, কীর্তন, ভজন, রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং নজরুলগীতিও গেয়েছেন তিনি। গেয়েছেন হিন্দি সিনেমাতেও। পরবর্তীকালে রাজ্য সরকারের সঙ্গীত অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ছিলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।