কলকাতা: লম্বা পোস্টের নিচে একটা ছবি। ওপরে লেখা সেই ছবি পোস্ট করার কারণ। বয়ানের লেখক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মাদার টেরেসার জন্মদিনের দিন পোস্ট করা একটি ছবি নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। নেটিজেনরা অভিযোগ করেছিলেন, ওই ছবিতে মাদার টেরেসার পাশে বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। আর প্রসেনজিতের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দেবশ্রী রায়। কিন্তু প্রসেনজিৎতের পোস্ট করা ছবিতে বাদ পড়েছিলেন এই দুজনেই।


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত গোটা ছবিটিই পোস্ট করেন প্রসেনজিৎ। ওপরে লেখেন, 'আমি সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং-এর কোনও উত্তর দিই নি কিন্তু এইবার প্রয়োজন বলে মনে হল। কারণ এই বিতর্কের সঙ্গে এমন কিছু মানুষের নাম জড়িয়ে, যাঁদের আমি ভীষণ সম্মান করি। প্রথমত আমি ছবিটি ক্রপ করে বা কেটে কাউকে বাদ দিইনি। অনেকদিন আগে এই অর্ধেক ছবিটিই আমায় ফরোয়ার্ড করেছিলেন একজন। আসল ছবিটি আমার কাছে ছিল না। মাদার টেরেসার জন্মদিনে ভাবলাম এই ছবিটি পোস্ট করা যেতে পারে। তাই করেছিলাম। দ্বিতীয়ত, মাদার টেরেসার প্রতি সম্মান দেখানো ছাড়া এই ছবিটি পোস্ট করার অন্য কোনও উদ্দেশ্য বা ইচ্ছে আমার ছিল না। তৃতীয় ও সর্বশেষ, আমি বিশ্বাস করি, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে ছবি পোস্ট করা মানেই কোনও বিশেষ দলকে সমর্থন বা কোনও দলের বিরোধিতা করা হয়ে যায় না। আর তাই আমি আনক্রপট বা পুরো ছবিটি পোস্ট করছি। এটা আমি আগের ছবির কমেন্ট বক্স থেকেই খুঁজে পেয়েছি।'


 


লম্বা পোস্টের শেষে অভিনেতা যোগ করেন, 'গোটা পৃথিবী একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আসুন ঘৃণা না ছড়িয়ে সবাই সবার পাশে দাঁড়াই, সবাইকে ভালোবাসি।'


 



 


সোশ্যাল মিডিয়ায় মাদার টেরেসার জন্মদিনে ছবি পোস্ট করে ট্রোলিং-এর মুখে পড়েন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। জ্যোতি বসুর ছবিকে বাদ দেওয়ার জন্য যেমন প্রশ্ন উঠেছিল তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে, অন্যদিকে দেবশ্রী রায়ের ছবিকে সরানোর জন্যও কাটাছেঁড়া হয়েছিল তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। কিন্তু অনুরাগীদের কাছে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে কার্যত খোলা চিঠি লিখলেন প্রসেনজিৎ।