মুম্বই: আদর্শ সোনু সুদ। হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই পর্যন্ত হেঁটে সোনু সুদের সঙ্গে দেখা করতে এলেন পড়ুয়া। ৭০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে করোনা কালের মসিহার সঙ্গে দেখা করতে এলেন ভেঙ্কটেশ নামে এক ছাত্র। হায়দরাবাদ-মুম্বই হাইওয়ে ধরে হাঁটতে থাকেন ওই যুবক। হাতের পোস্টারে লেখা,' সোনু সুদ, দ্য রিয়েল হিরো।'



বলিউডে বক্স অফিসে ছবির ব্যবসা দিয়েই মাপা হয় তারকাদের যশ, খ্যাতি। কিন্তু কেবল অভিনয়, গ্ল্যামার বা পেশাদারি সাফল্য নয়, মানবিকতা দিয়েও যে অনায়াসে মন জয় করা যায় তা শেখালেন সোনু সুদ। আসমুদ্র হিমাচল যাঁকে চেনে ‘দাবাং’-এর ছেদী সিং’ হিসাবে। তাঁর নিষ্ঠুর চাহনি, পেশিবহুল চেহারা আর খুনে মেজাজ দর্শকদের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বইয়ে দেয়। করোনা আবহে অবশ্য উলটপুরাণ হয়েছে। পর্দার খলনায়ক সোনু এখন জনতার চোখে ‘মসিহা’। লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরাতে তাঁর মহৎ উদ্যোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিজে রাস্তায় নেমে শ্রমিকদের ফেরার ব্যবস্থা করেছেন। হাতে তুলে দিয়েছেন খাবারের প্যাকেট, জল।

 

সম্প্রতি সোনু সুদকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর ছবি ছাপা হয়েছিল গোটা একটা বিমান জুড়ে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সোনু লিখেছিলেন, ‘ মোগা থেকে ‘অসংরক্ষিত টিকিটে মুম্বই আসার দিনগুলো খুব মনে পড়ছে। এত ভালোবাসার ধন্য ধন্যবাদ। আমার বাবা-মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে।‘

 

ভেঙ্কটেশ নামে ওই ছাত্রের কথা ফেসবুক থেকে জানতে পারেন সোনু। তাঁর হাঁটার ভিডিও ট্যুইট করে সোনু লিখেছিলেন, 'আমি জানি তোমরা সবাই আমায় ভালোবাসো। কিন্তু নিজের জীবন বিপদে ফেলো না।' আস মুম্বই পৌঁছে সোনুর সঙ্গে দেখা করেন সেই তরুণ। তাঁর সঙ্গে ছবিও তোলেন সোনু। সেই ছবি নিজে ট্যুইট করে সোনু লিখেছেন, 'ভেঙ্কটেশ নামের এই ছেলেটি খালি পায়ে হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই হেঁটে এসেছে কেবল আমার সঙ্গে দেখা করবে বলে। নিজের জন্য কোনও যানবাহন জোগাড় করার চেষ্টাও করেনি। ওর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তবে আমি কখনোই কাউকে এই ধরনের কাজ করতে উৎসাহিত করব না।'