কলকাতা: 'একবার ঋতুকে বলেছিলাম...হাঁ মুখটা ছোট করো...সব খাবো, সব খাবো করো না', এক ঘণ্টার টান টান ভিডিও। একের পর এক বোমা ফাটিয়ে চললেন শ্রীলেখা মিত্র। কখনও তাঁর টার্গেট প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কখনও ঋতুপর্ণা, কখনও ধানুকা, কখনও আবার অন্য কোনও পরিচালক।
আপাতত শ্রীলেখার এই ভিডিও ঘিরে উত্তাল টলিউড। কখনও কারও নাম করে, কখনও নাম না করে একের পর এক টলিউড ব্যক্তিত্বকে কামানের সামনে দাঁড় করালেন শ্রীলেখা।
বারবার তিনি বুঝিয়ে দিলেন, শুধু বলিউড নয়, টলিগঞ্জেও স্বজনপোষণের ইতিহাস পুরনো। কয়েকটি লবির অঙ্গুলি হেলনেই চলে টলিউড।
শ্রীলেখার আক্রমণের মুখ ভেঙ্কটেশ ফিল্মও। বললেন, এঁরাই ছোট ব্যানারের ছবি ভাল হলেও চলতে দেন না। জোর করে ছবির সময় পরিবর্তন করে দেওয়া হয় বা শো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কেরিয়ারের শুরু থেকে নানা ঘটনার কথা শ্রীলেখা দাবি করেন, টলিউডে নেপোটিজম ছিল, আছে, থাকবে। মনোপলি ছিল, আছে, থাকবে।
শ্রীলেখার দাবি, তাঁর কোনও গডফাদার নেই, কোনওদিন কোনও পরিচালক প্রযোজকের সঙ্গেও সম্পর্ক করেননি। তাই ছবির কাজ থেকে বারবার বঞ্চিত হয়েছেন, শেষ মুহূর্তে জেনেছেন ছবিতে তিনি নেই।
ঋতুকে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি বলেন, ঋতুপর্ণা যে কোনও বয়সের পুরুষের সঙ্গে যেভাবে কথা বলতে পারেন, সেভাবে তিনি পারেননি। তাই তেমন কোনও ক্রাশ কোর্স হলে টলিউডে নবাগতারা উপকৃত হবেন।
'আমার মুনমুন সেন, অপর্ণা সেনের মতো মা নেই...সন্তু মুখোপাধ্যায়ের মতো বাবা নেই, তাহলে হয়ত স্ট্রাগলটা কম হত।' দাবি শ্রীলেখার।
একবার বিদেশের মাটিতে গিয়ে ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁকে বলেন, ঐশ্বর্যার থেকে তিনি ভাল অভিনয় করেন, কিন্তু অ্যাশের বক্সঅফিস তো অনেক বেশি, তাই তাঁকেই নিতে হল।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় নাকি বলেছিলেন, “ চূর্ণীকে তো অন্য পরিচালকরা কাজে ডাকে না, তাই ওঁর ছবিতে তো চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়কে নিতেই হবে। ’’
স্বস্তিকা সৃজিতের সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুলেও তিনি বলেন, দুজনের সম্পর্ক ছিল বলেই হয়ত শ্রীলেখা তাঁর ছবিতে কাজ পাননি।
শেষমেষ শ্রীলেখার প্রশ্ন, তাঁকেও কি তাহলে আত্মহত্যা করেই প্রমাণ করতে হত, তিনিও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন?