লকডাউনে ভয়ঙ্করভাবে বিপর্যস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা। গেছে কাজ। গেছে ছাদ। খাবারের সংস্থান না করতে পেরে শহর থেকে গ্রামে গ্রামে ফিরে গিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কাজ না থাকলে কীভাবে চলবে আগামী দিন? সেই কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করলেন "গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান"।
প্রত্যেক রাজ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে এসেছেন। তবে পরিযায়ী সমস্যার প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে ৬ রাজ্যের উপর। রাজ্যগুলির ১১৬ টি জেলা বেছে নিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে ওই জেলাগুলি এই অভিযানের আওতায় পড়বে। কাজ-হারাদের রোজগারের ব্যবস্থা করার উদ্দেশে মোদি সরকারের এই যোজনা। আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অভিযানের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের সূচনায় উঠে এল লাদাখে চিন-ভারত সংঘর্ষের প্রসঙ্গ।
নরেন্দ্র মোদি বলেন,




  • লাদাখে  বিক্রম দেখিয়েছে সেনার বিহার রেজিমেন্ট। যাঁরা প্রাণ বলিদান দিয়েছেন, তাঁদের প্রণাম। দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে।

  • গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানে গ্রামে কাজ বাড়বে।

  • করোনায় গোটা বিশ্ব ত্রস্ত। ভারতবাসী অতিমারীর মোকাবিলা করেছে। গ্রামীণ ভারত করোনা সংক্রমণ রুখে দিয়েছে।

  • এর জন্য গ্রামীণ ভারত গর্ব করতে পারে।  গ্রাম প্রধান, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা দারুণ কাজ করেছেন।

  • এই কাজ যাঁরা করেছেন, সবার প্রশংসা প্রাপ্য।  করোনা থেকে দেশ বাঁচানোর পুণ্য করেছেন।

  • লকডাউনের সময় অনেকে কাজ খুইয়ে গ্রামে ফিরেছেন। তাঁরা এখন তাঁদের নিজেদের গ্রামের বিকাশের জন্য কিছু করতে চান। তাঁদের এই ভাবনাকে সরকার সম্মান জানায়। তাঁদের প্রয়োজনও দেশের সরকার বোঝে।

  • ১২৫ দিনের এই ক্যাম্পেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ২৫ ধরনের কাজ দেওয়া হবে পরিযায়ীদের। এতে করে তাঁদের সাময়িক সুরাহা মিলবে।

  • বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা - এই ৬ রাজ্যের মোট ১১৬টি জেলার জন্য এই প্রকল্প।

  • এই প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের ঘরের কাছেই কাজ পাবেন। নিজের পরিবারের সঙ্গে থেকেই শ্রমিকরা কাজ করবেন।

  • আমি এই অভিযানের ধারণা পেয়েছি পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকেই।

  • শহরকে যাঁরা প্রগতি দিয়েছেন, তাঁরা এখন গ্রামে। গ্রামের উন্নতির জন্য ৫০ হাজার কোটি খরচ করা হবে।

  • গ্রামের ঘরে ঘরে সস্তা ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে সরকার।