তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: ফোন ধরে, প্রাথমিক কুশল বিনিময়ের পরে, দোলের প্রশ্ন শুনেই উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলেন তিনি। তারপরে বললেন, 'দোল? আমি তো দোলের জন্য আদর্শ জায়গাতেই যাচ্ছি। কবিগুরু দোল খেলতেন যেখানে...' দোলের আগের দিন, গাড়িতে করে শান্তিনিকেতনের পথে ... তারমধ্যেই ফোনে এবিপি লাইভকে (ABP Live) ছোটবেলার দোলের গল্প শোনালেন অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায় (Subhasish Mukhopadhyay)। 


ছোটবেলার দোল বলতেই মামারবাড়ির কথা মনে পড়ে অভিনেতার। শুভাশিস বলছেন, ' ছোটবেলার দোল বলতে প্রথমেই মনে পড়ে মামারবাড়ির স্মৃতি। দোলের আগের দিনই মায়ের সঙ্গে সেখানে চলে যেতাম। দোলের থেকেই আমার কাছে আকর্ষণীয় লাগত 'ন্যাড়াপোড়া'। ওটা দেখতে আগেরদিন চলে যেতাম ওখানে। আরও এখকটা জিনিসের কথা খুব মনে পড়ে। রঙিন মঠ। এখনও পেলে মনে হয় খেয়ে নেব। কী ভীষণ ভালবাসতাম ওগুলো খেতে। দোলের দিন বাড়িতে ভাই-মামা-মাসি সবার সঙ্গে আবির খেলা হত। সেই সমস্ত স্মৃতি এখন ভীষণ মনে পড়ে।'


শুভাশিসের জন্ম, বড় হয়ে ওঠা সবই উত্তর কলকাতায়। হাতিবাগান অঞ্চলে। অভিনেতা বলছেন, 'ছোটবেলায় যেমন রঙ খেলেছি, তেমন এই দিনটা ছিল দুষ্টুমিরও। আমাদের বাড়িটা ছিল ২ তলা। দোলের দিন সকাল থেকে রং আর জল নিয়ে ছাদে উঠে পড়তাম। নিচে দিয়ে যারাই যেতেন, গায়ে রং ছুঁড়ে দিতাম পিচকারি দিয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে বাঁদুরে রঙও কম খেলিনি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দোলের সেই উন্মাদনা কমেছে বটে, তবে আবেগটা রয়ে গিয়েছে।'


বিয়ের পরে অবশ্য দোলের রুটিন কিছুটা বদলেছে অভিনেতার। শুভাশিস বলছেন, 'বিয়ে হওয়ার পরে, আমার শ্বশুরবাড়িতে দোলের দিন দারুণ একটা আসর বসত। অনেক সাহিত্যিক-শিল্পীরা আসতেন। আমিও অংশ নিতাম। আমার স্ত্রী ভীষণ ভাল রান্না করেন। দোলের দিন অবশ্যই স্পেশাল আইটেম হয় বাড়িতে। আর এখন দোলে শান্তিনিকেতনের বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করি। জায়গাটা আমার বড় পছন্দ। মাসে অন্তত একবার করে ওখানে যাওয়া হয়েই যায়। আমি তো বেশ কয়েকদিন আগেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে শান্তিনিকেতন চলে গিয়েছিলাম। আজ কলকাতায় এসেছিলাম একটা শো ছিল বলে। এই ফিরছি শান্তিনিকেতনে। দোল কাটিয়ে একেবারে আসব।'


আরও পড়ুন: Paran Banerjee Exclusive: প্রেমিকার সিঁথিতে লাল আবির দিয়েছিলাম দোলে, তার সঙ্গেই কাটালাম ৫২ বছর


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।