মুম্বই: সব বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মতামত ছিল। তা গোপন না রেখে প্রকাশ্যে বলতেন। আর স্রেফ এই কারণে অন্তত ২০-৩০টা ছবি তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। বললেন মল্লিকা শেরাওয়াত। তবে সে জন্য কোনও আফশোস নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।


প্রায় ১৫ বছর আগে মুক্তি পাওয়া মার্ডার মল্লিকার সব থেকে হিট ছবি। কিন্তু তাঁর পর কেমন যেন মুখ থুবড়ে পড়ে তাঁর কেরিয়ার। সে নিয়ে বলতে গিয়ে মল্লিকা বলেছেন, তাঁর নিজস্ব মতামত ছিল তাই একের পর এক ছবি হাত থেকে ফসকে গিয়েছে। শুনতে পেতেন, নায়করা বলছেন, ওকে নিয়ো না, ও বড্ড কথা বলে, সব বিষয়ে মতামত দেয়। তাঁর বদলে নিজেদের বান্ধবীদের সুযোগ দিতেন তাঁরা।

মল্লিকা বলেছেন, এভাবে অন্তত ২০-৩০টা ছবি তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা তিক্ত করেনি তাঁকে। বরং এখন যখন তিনি পিছনে তাকান, সেই নায়কদের নির্বোধ বলে মনে হয়।

এখন মি টু নিয়ে যত হইচই। মার্ডার-এর নায়িকার বক্তব্য, তিনি যখন এ নিয়ে মুখ খোলেন, তখন বলিউড প্রশ্ন তোলে তাঁর দেশাত্মবোধ নিয়ে। তাল মেলায় সংবাদমাধ্যমও। নায়িকারা তাঁকে আক্রমণ করেন। কিন্তু দেশকে ভালবাসতেন বলেই প্রশ্ন তোলেন পিছিয়ে পড়া মানসিকতা নিয়ে। তবে এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এসে যাওয়ায় যে সব অভিনেতা অভিনেত্রীরা বলিউডের চিরাচরিত নিয়মতান্ত্রিক গঠনতন্ত্রের মধ্যে বিশেষ কিছু করতে পারছিলেন না, তাঁরাও নিজেদের প্রকাশ করার জায়গা পেয়েছেন। তাঁর কথায়, ট্র্যাডিশনাল বলিউড সব সময় ভয়ে ভয়ে চলে, কেউ ফরমুলার বাইরে বার হওয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না। তবে এখন স্ত্রী, অন্ধাধুন, বধাই হো-র মত ছবি তৈরি হচ্ছে। যদিও বছরে ১৫০০ ছবি তৈরি করছে বলিউড, তার মধ্যে মাত্র কয়েকটাই অন্য পথে হাঁটার সাহস দেখায়।

মল্লিকাকে এরপর দেখা যাবে কমেডি ছবি বুউউউ... সবকি ফাটেগি ছবিতে। তিনি জানিয়েছেন, এ ধরনের পুরোপুরি কমেডি ছবি তিনি আগে করেননি, কমেডি করা মোটেই সহজ নয়, তাই প্রতি মুহূর্তে সাবধানে অভিনয় করতে হয়েছে।