নয়াদিল্লি: দিন কয়েক আগেই খোঁজ মেলে ভোজপুরী অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষা দুবের (Bhojpuri actress Akanksha Dubey) মৃত্যুর। বারাণসীতে শ্যুটিং করতে গিয়ে হোটেলের ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয় ২৫ বছর বয়সী অভিনেত্রীর। প্রথমেই এই মৃত্যুকে আত্মহত্যার ঘটনা বলা হলেও একের পর এক তথ্য উঠে আসতে থাকে। অভিনেত্রীর পরিবারের লোকজন সমর সিংহের (Samar Singh) বিরুদ্ধে হয়রানি মামলা (harassment case) দায়ের করেছেন। এবার অভিনেত্রীর পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) দাবি জানানো হল।
আকাঙ্ক্ষা মৃত্যু কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আকাঙ্ক্ষা দুবের মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁর উকিল শশাঙ্ক শেখর ত্রিপাঠী। এএনআইকে তিনি বলেছেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আবেদন জানাচ্ছি এই ঘটনার তদন্তের জন্য। আকাঙ্ক্ষার পরিবারের সদস্যরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন কারণ তাঁরা আর বারাণসী পুলিশকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। আকাঙ্ক্ষার মায়ের দাবি, গায়ক সমর সিংহ আকাঙ্ক্ষাকে উত্যক্ত করত। অভিনেত্রীর পরিবার বিশ্বাস করেন যে তাঁকে খুন করা হয়েছে।'
আকাঙ্ক্ষার মায়ের দাবি অনুযায়ী, অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেননি, বরং তাঁর মৃত্যুর পিছনে সমর সিংহ ও সঞ্জয় সিংহের হাত রয়েছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশ তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিনেত্রীর মায়ের দাবি সমর সিংহ তাঁর মেয়েকে হয়রান করত।
সমর এবং সঞ্জয় দুজনের বিরুদ্ধেই ৬ এপ্রিল হিংসা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়, যার ফলে আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে NBWs (অ-জামিনযোগ্য পরোয়ানা) জারি করে।
উত্তর প্রদেশের ভাদোহি জেলার বাসিন্দা আকাঙ্ক্ষা দুবে বারাণসী যান একটি সিনেমার শ্যুটিংয়ের কাজে। থাকছিলেন এক হোটেলে। রবিবার সকাল পর্যন্তও যখন অভিনেত্রী হোটেলের ঘর থেকে বের হননি তখন হোটেলের কর্মচারীরা মাস্টার চাবি ব্যবহার করে ভেতরে ঢোকেন। সেখানেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: Salman Khan: সলমন খানকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নাবালককে হেফাজতে নিল মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ
১৯৯৭ সালের ২১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন আকাঙ্ক্ষা। ছোট থেকেই তাঁর নাচ ও অভিনয়ের শখ ছিল। ছোট ছোট নাচের ও অভিনয়ের ভিডিও তৈরি করে তিনি টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে শুরু করেন তিনি। এরপর পরিবারের সঙ্গে তিনি মুম্বইয়ে চলে আসেন। সেখানে আকাঙ্ক্ষা নিজের অভিনয় সফর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান যদিও তাঁর বাবা-মা চেয়েছিলেন মেয়ে 'আইপিএস' অফিসার হোক। 'মেরি জং মেরা ফয়সলা' ছবির হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করার পর অজস্র ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। 'কসম পয়দা করনে কি ২', 'বীরোঁ কে বীর', 'ফাইটার কিং' ও 'মুঝসে শাদি করোগি' (ভোজপুরি) ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।