ঢাকা: রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (United Nations Development Programme)UNDP-র শুভেচ্ছা দূত নিযুক্ত হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ১লা জানুয়ারি ২০২২ থেকে আগামী এক বছরের জন্য এই গুরু দায়িত্ব বর্তেছে তাঁর ওপর।
আগামী দিনে রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি(ইউএনডিপি)বিভিন্ন কাজে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করবেন তিনি। এমনিতেই সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তাঁর অংশগ্রহণ চোখে পড়ে। সেই কারণে বাংলাতেও জয়া আহসানের গুণমুগ্ধের সংখ্যা বাড়ছে। UNDP-র শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তিনি মূলত, 'এসডিজি' অর্জনে সবার সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন।
শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্ব পেয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। জয়া বলেছেন "আমি ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে একদিকে যেমন আনন্দিত, আরেক দিকে ইউএনডিপির সাথে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারব ভেবে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী রক্ষার জন্য যেই লক্ষ্যমাত্রা যা এসডিজি নামে পরিচিত, তা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি অর্জন করতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আর আমি আমার কাজের মধ্যে দিয়ে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করব। যেন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশ-সহ বিশ্বকে আরও সুন্দর, সহনশীল করে গড়ে তুলতে পারি।"
তবে কেবল এসডিজি-র কাজেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না জয়া। দারিদ্র দূরীকরণ, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন, সহনশীলতা, পরিবেশ, জ্বালানি ও লিঙ্গ সমতা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করবেন এই অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি, সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, ''এ পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে তোলা আমাদের সবার অঙ্গীকার। আর এই অঙ্গীকার রক্ষা করতে হলে আমাদের সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই কেবল এসডিজি অর্জন করা সম্ভব হবে। জয়া আহসানের মতো একজন, যিনি শুধু জনপ্রিয় শিল্পী নন, পাশাপাশি
সমাজ উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, এমন একজন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হওয়াতে আমরা সৌভাগ্যবান । ওনার মাধ্যমে আমাদের কথা এখন দেশ ও দেশের বাইরে মানুষকে আরও বেশি করে পৌঁছানো যাবে। আমাদের লক্ষ্য হবে, সবাই মিলে সুন্দর একটি পৃথিবী গড়ে তোলা। যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।"
বাংলাদেশের মানচিত্র ছাড়িয়ে টলিউডেও এখন পরিচিত নাম জয়া আহসান। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাংলা ছবিতে নিজের অভিনয় ক্ষমতার জেরে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিত্যদিন বেড়েই চলেছে তাঁর গুণমুদ্ধের সংখ্যা।