তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। প্রথমে পড়াশোনা ও তারপরে কাজের জন্য। ছোটবেলা থেকে তিনি অভিনয় করতে চাইলেও, মত ছিল না বাড়ির। শাসন এতটাই কড়া, ইচ্ছামতো কেনা যেন তা রূপচর্চার শখের জিনিসও! আর তাই, লাঞ্চের টাকা বাঁচিয়ে নিজের পছন্দের জিনিসপত্র কিনতেন তিনি। এখন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী তিনি। পরিচালকদের পছন্দের তালিকায় এই নায়িকা। তবে কেমন ছিল তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো? নতুন ছবি 'আলাপ' মুক্তির আগে নিজের কেরিয়ার শুরুর গল্প এবিপি লাইভকে (ABP Live) শোনালেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)।
তিনি যে অভিনেত্রী হবেন, তা চাননি বাড়ির কেউ! মিমি বলছেন, 'কেরিয়ার শুরুর প্রথমদিনটা মনে না পড়লেও, শুরুর কয়েক বছরের লড়াইটা মনে পড়ে খুব। জলপাইগুড়ি থেকে সদ্য কলকাতায় এসেছি। এখানকার কলেজে কলেজে ফর্ম তুলছি, ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবসময়েই আমার সঙ্গে থাকতেন পাপা (বাবা)। ভীষণ গরম সেই সময়টা। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে কখনও সখনও গায়ে পড়ত এসির ঠাণ্ডা জল। ওপরে চোখ তুলে দেখতাম, কারও ঘরে এসি চলছে। রাস্তা দিয়ে এসি গাড়িতে করে কাউকে যেতে দেখলে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। বলতাম, 'পাপা ওদের এসিও আছে, গাড়িও আছে। আমার হবে কোনোদিন? এসিতে বসব এটা ভাবতেই পারতাম না কখনও।'
এখানেই থামলেন না মিমি। গ্রীষ্মের দুপুর এমনিতেই মনখারাপ করা। সেই ছোঁয়া গলায় লাগিয়েই যেন তিনি বললেন, 'দুপুরে কলেজ থেকে ফিরে জানলায় জল ঢালতাম। তারপরে বিছানার তোষক ভিজিয়ে নিতাম। তারপরে তোয়ালে জলে ভিজিয়ে সেটা গায়ে দিয়ে শুতাম। এটাই ছিল আমাদের এসি। এগুলো কোনোদিনই ভুলব না। আরও একটা কাজ মনে আছে.. দুপুর ১২টার সময় রোজ হরলিক্স খেয়ে নিতাম। তাতে পেট ভরে যেত, আর লাঞ্চ করতে হত না। সেই সারা মাসের লাঞ্চের টাকা জমিয়ে সেটা দিয়ে নেলপলিশ, জুতো, টপ এইসব শখের জিনিস কিনতাম।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।