কলকাতা: মৌনি রায়। বলিউডের অন্য়তম গ্ল্য়াম গার্ল। আবারও তিনি উঠে এলেন খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি তিনি মন্তব্য় করেন, ভগবদ গীতার স্থান হওয়া উচিত সারাদেশের পাঠ্য়ক্রমে। একেবারে স্কুল থেকেই বাচ্চাদের হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ভগবদ গীতা সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। তিনি জানান, দীর্ঘসময় লকডাউন চলাকলীন তিনি ভগবদ গীতা পাঠ করেন ও এর মূল্য়বোধ সম্পর্কে জানতে পারেন।
'গোল্ড' অভিনেত্রী মৌনি আরও জানান, ছোটবেলায় স্কুলে পড়াকালীন তিনি ভগবদ গীতা পড়েছিলেন, কিন্তু তার মর্মার্থ তখন তিনি বুঝতে পারেননি। কিন্তু বড় হওয়ার পর আবার তিনি গ্রন্থটি পড়েন ও সেখানে লেখা কথার অর্থ উপলদ্ধি করেন।
অভিনেত্রী জানান, লকডাউন চলাকালীন তাঁর এক বন্ধু হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ভগবদ গীতা পড়ার ক্লাস তৈরি করেন। বেশ কিছু সময় কাজের চাপে তিনি কিছু ক্লাসে গরহাজির থাকলেও, অভিনেত্রীর অন্য় বন্ধুরা এই ক্লাস করেছেন।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'এই গ্রন্থের লেখা যে কোনও মানুষকে জীবনে ইতিবাচক হতে সাহায্য় করবে। জীবনের কোনও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে, কোনও সমস্য়ার সমাধান খুঁজে না পেলে ভগবদ গীতার থেকে সহজেই সমাধান সূত্র মিলবে।'
অভিনেত্রী আরও জানান, শুধুমাত্র ভারতে বা বলিউডে বা স্কুলেই নয়, সারা পৃথিবীর সমস্ত পেশার, সমস্ত শ্রেণির মানুষকে ভগবদ গীতা সম্পর্কে জানাতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রদেশে মানুষের মধ্য়ে গোঁড়া মানসিকতা রয়েছে। তার পরিবর্তন হওয়া উচিত বলেও মনে করেন মৌনি। তিনি বলেন, 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও- এর কথা আমরা বলি, কিন্তু বেটা বাঁচাও, বেটা পড়াও-এর কথা বলি না। আমাদের সামাজিক স্বার্থের কথাও ভাবতে হবে। আর সেই কারণেই ভগবদ গীতা পাঠ সমাজের সব স্তরের মানুষের মানসিক বিকাশকে সমৃদ্ধ করবে।'
মুখ্যমন্ত্রী বিয়েতে যেতেই ছিল জল্পনা, তৃণমূলেই নীল-তৃণা
মৌনি বলেন, 'বলিউড ইন্ডাস্ট্রি অত্য়ন্ত কঠিন জায়গা। এখানে শনিবার-রবিবার বলে কিছু হয় না। কাজের কোনও নিয়মমাফিক সময়সীমা নেই। এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক সময়ই বিভিন্ন মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ফলে ভগবত গীতা মানুষকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে ও একাধিক সমস্য়া সমাধানের পথ দেখাবে। আপনি যে প্রশ্নই করুন না কেন, গীতায় সব কিছুর উত্তর রয়েছে।'