কলকাতা: লাল ওভারসাইসড হুডি আর ডেনিম। চোখে চশমা, খোলা চুলে একটি সোফায় বসে নুসরত জাহান। হাতের গীটারে মগ্ন নায়িকা। বুধবার সকালে এই ছবিটিই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন তিনি। ক্যাপশানে লিখলেন, 'গীটার বাজান, মানুষকে নিয়ে খেলা করবেন না।' আর ফটো কার্টেসি কাকে দিলেন? যশ দাশগুপ্তকে! অন্যদিকে সাদা শার্টে পাহাড়ের কোলে দাঁড়িয়ে যশ। হ্যাশট্যাগ থ্রোব্যাক দিয়ে ফটো কার্টেসি কাকে দিলেন? নুসরতকে!
নুসরত জাহান ও যশ দাশগুপ্তের সম্পর্কের জল্পনা নতুন নয়। টলিপাড়ার এই 'দুই বন্ধু' পৌঁছে যান এক অপরের জন্মদিন থেকে শুরু করে পার্টি, মঞ্চের অনুষ্ঠানেও। একসঙ্গে আজমের শরিফেও ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা এমনটাই জল্পনা ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে। শোনা গিয়েছে, এখন স্বামী নিখিলের সঙ্গে থাকছেন না নুসরত। ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলোও করে দিয়েছেন দুজনে। যদিও এখনও তাঁদের প্রোফাইলে জ্বলজ্বল করছে বিয়ের বিভিন্ন মুহূর্ত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীরা যশ ও নুসরতের একসঙ্গে নাম দিয়ে ফেলেছেন 'যশরত'। নায়ক-নায়িকার সম্পর্কের সমীকরণটা ঠিক কী? এই প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দুজনেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় নুসরতের পোস্টের ক্যাপশানে তাঁর একা থাকার আঁচ পাওয়া যায়। অন্যদিকে নিখিলের বিভিন্ন পোস্টেও নাম না করে নুসরতের উদ্দেশ্যে দেওয়া বিভিন্ন বার্তা খুঁজে পান নেটিজেনরা। নুসরত-নিখিলের বিবাহবিচ্ছেদের খবর নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। তবে সেই খবরকে অস্বীকার করেছিলেন নুসরত জাহান নিজেই। অন্যদিকে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছিলেন নিখিলও।
অন্যদিকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে যশকেও বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু নুসরত বিরোধী দলের সাংসদ, বিজেপিকে কেন বেছে নিলেন যশ? যদিও এই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিবারই ভাবধারা ও আদর্শের কথা বলেছেন যশ। একই ধরনের উত্তর দিয়েছেন নুসরতও। নির্বাচনী আবহে নিজেদের দলের হয়ে প্রচারও চালিয়েছেন দুজনেই। চণ্ডীতলা থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন যশ। যদিও নির্বাচনী ফলাফল তাঁর অনুকুলে হয়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু নুসরতের কাছ থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন যশ দাশগুপ্ত।
নির্বাচন শেষ। এবার নুসরতকে গীটার হাতে দেখে ক্যামেরার শাটারে হাত রাখছে যশ। আর পাহাড়োর কোলে যশকে দাঁড়াতে দেখে লেন্সে চোখ রাখছেন নুসরত। ক্লিক.... প্রেমের শুরু? উত্তর দেবে সময়।