তিরুঅনন্তপুরম: অপরাধের মধ্যে ৭০ ছুঁই ছুঁই বয়সে ফটোশ্যুট করিয়েছেন। এই জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্মম ট্রোলিংয়ের শিকার হলেন প্রাক্তন বিগবস মালয়ালম প্রতিযোগী রজনী চ্যান্ডি। গত সপ্তাহে ফেসবুকে ছবিগুলি পোস্ট করেন তিনি। তখনই লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়ে, বলে, এই বয়সে ধর্মকর্ম না করে এই সব?
ছবিগুলি তুলে দিয়েছেন কেরলের ফটোগ্রাফার আথিরা জয়। তাতে দেখা যাচ্ছে রজনী হাঁটু ঝুলের ডেনিমের পোশাক পরেছেন, ফুল ছাপ ম্যাক্সি আর ছেঁড়া ফাটা জিনস। তাঁকে সব সময় শাড়িতেই দেখা যায়, এই উলটপুরাণে লোকজন চটে লাল। তাদের দাবি, এ সব ছবি অত্যন্ত যৌনধর্মী। কেউ কেউ আবার জানতে চেয়েছে, তুমি এখনও মরনি?
রজনী বলেছেন, এই সব ছবির জন্য তাঁকে দেহ পসারিণী আখ্যা দেওয়া হয়েছে। একজন আবার বলেছে, ঘরে বসে বাইবেল পড়ুন। এখন আপনার ঠাকুরদেবতা করার বয়স, শরীর দেখানোর নয়। অন্য একজনের মন্তব্য, তুমি লজঝড়ে অটো রিকশা, নতুন করে রংচং করলেও পুরনোই থেকে যাবে। বেশিরভাগ সমালোচকই মহিলা, জানিয়েছেন রজনী। তাঁর দাবি, এ সব হচ্ছে হিংসার কারণে। যে সব মহিলার বয়স ৪০-৫০-এর ঘরে, নিজেদের যত্ন নেয় না, তারা বেশি বয়স্ক মহিলার সুন্দর চেহারা সহ্য করতে পারে না। তাঁর দাবি।
তবে অনেকে তাঁর ফটোশ্যুটের প্রশংসাও করেছেন। একজন বলেছেন, আপনার আত্মবিশ্বাস আর অ্যাটিটিউড ভাল লেগেছে, আর একজনের মন্তব্য, আপনি প্রমাণ করেছেন, বয়স একটা সংখ্যা ছাড়া কিছু নয়।
আসলে রজনী দীর্ঘদিন শাড়ি ছাড়া অন্য পোশাকে প্রকাশ্যে আসেননি। অনেক অল্প বয়সে পশ্চিমী পোশাক পরতেন, তাই এই ফটোশ্যুটের প্রস্তাব এলে আপত্তিই করেন তিনি। কিন্তু ফটোগ্রাফারের জোরাজুরিতে মেকওভারে রাজি হয়ে যান। কিন্তু এধরনের ট্রোলিংয়ের মুখোমুখি হতে হবে বলে তিনি ভাবেননি। রজনী বলেছেন, তিনি শুধু প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, বয়স্করাও জীবন উপভোগ করতে পারেন, তাঁদেরও নিজের মত করে বাঁচার অধিকার আছে। এ ধরনের সমালোচনা বড় আঘাত হয়ে এসেছে তাঁর কাছে। তাঁর কথায়, ছবিগুলো ভাল না লাগলে দেখ না। এমন হিংস্র আক্রমণের দরকার কী।