মুম্বই: বাবা সোমু মুখোপাধ্যায় চাননি, তিনি অজয় দেবগণকে বিয়ে করুন। মন কষাকষির জেরে মেয়ের সঙ্গে ৪ দিন নাকি কথা বন্ধ রাখেন তিনি। তবে মা তনুজা ছিলেন, তাই শেষমেষ নির্বিঘ্নেই বিয়েটা সম্পন্ন হয় তাঁর। জানালেন কাজল।

কাজলকে আজ থেকে দেখা যাবে নেটফ্লিক্সের ওয়েব শো ত্রিভঙ্গ-তে। ত্রিভঙ্গ ফ্যামিলি ড্রামা। তার আগে নিজের পরিবারের ব্যাপারে কাজল বলেছেন, ২৪ বছর বয়সে কেরিয়ারের শীর্ষে থাকার সময় তাঁর বিয়ে করার সিদ্ধান্তে চটে গিয়েছিলেন বাবা, ছবি নির্মাতা সোমু মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, এখন কাজে মন দাও, পরে সংসার বাঁধবে। কিন্তু মা তনুজা মেয়েকে পুরোপুরি সমর্থন করেন, বলেন, যা মন চাইছে তাই কর। ভাগ্য ভাল ছিল, শুধু মা নন, অন্যান্য পরিজনরাও সমর্থন করেন তাঁকে। ব্যস, তিনি মনের কথা শোনেন। পিতৃতন্ত্রের মুখোমুখি তাঁকে হতে হয়নি, অথবা হয়েছেন হয়তো, বুঝতে পারেননি। কারণ কোনও কোনও পরিস্থিতি তিনি পুরোপুরি ভুলে যান।

১৯৯৯ সালে কাজল বিয়ে করেন অভিনেতা অজয় দেবগণকে। তখন তিনি বলিউডের এক নম্বর নায়িকা, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, পেয়ার তো হোনা হি থা, হাম আপকে দিল মে রহতে হ্যায়-এর মত একের পর এক হিট ছবি দিচ্ছেন। উল্টোদিকে অজয় তখনও অবিসংবাদী নায়ক হিসেবে নিজেকে তেমন প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি, প্রেমিকার তুলনায় খানিকটা নিষ্প্রভ। সে সময় মেয়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সোমু। কারণ বিয়ে করে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে বলিউড নায়িকাদের কেরিয়ার শেষ বলে তখন মনে করা হত, তাই মাধুরী দীক্ষিত বিয়ে করেন অনেক দেরিতে, জুহি চাওলা তো বিয়ে করেও তা গোপন রাখেন। কিন্তু ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিয়ে করে ফেলেন কাজল।

তিনি জানিয়েছেন, অজয়ের বাবা মায়ের এই বিয়েতে কোনও আপত্তি ছিল না কিন্তু তাঁর বাবা তাঁর সঙ্গে ৪ দিন কথা বলেননি। তাঁর ইচ্ছে ছিল, মেয়ে কেরিয়ারে জোর দিক কিন্তু তিনি জেদ ধরে থাকেন। শেষমেষ বাবাও রাজি হয়ে যান। কোনও পক্ষ কাউকে সেভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেয়নি, তাঁরা শুধু জানতেন, এক সঙ্গে জীবনটা কাটাতে চান।

কাজল আরও জানিয়েছেন, মা তনুজার জন্যই বাবা মায়ের ডিভোর্সের মত সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তিনি সহজে সামলাতে পেরেছিলেন। মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অসম্ভব ভাল, কারণ মা অসাধারণ। তাঁর জন্য মা যা যা করেছেন, যে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সব কিছু তাঁর কাছে ব্যাখ্যা করেন তিনি, এমনভাবে যাতে তিনি তা বুঝতে পারেন। বুঝিয়েছেন, যতক্ষণ না তিনি বুঝতে পেরেছেন, সমস্যার সমাধান এক সঙ্গে বার করেছেন তাঁরা। তারপর তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আলোচনা শেষ। কাজল বলেছেন।