তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: তাঁর পেশা অভিনয়.. কিন্তু এখনও ভীষণ ভালবাসেন পড়তে, লিখতেও। সরস্বতী পুজো দিন তাই ঠাকুরের সামনে নিয়ম করে বই রাখেন তিনি। পুজো দেন, নিয়ম করে। কেমন কাটে অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রের (Rukmini Maitra) সরস্বতী পুজো? খোঁজ নিল এবিপি লাইভ (ABP Live)। 


রুক্মিণীর নিজের বাড়িতে পুজো না হলেও, অফিসে বা দাদার বাড়িতে বাণীবন্দনা হয়। সেখানেই সামিল হন অভিনেত্রী। রুক্মিণী বলছেন, 'আমি যে আবাসনে থাকি, সেখানে আয়োজন করে সরস্বতী পুজো হয়। আমার এক দাদার বাড়ি, অফিসেও পুজোয় হয়। প্রত্যেক বছর কোনও একটা জায়গায় আমি পুজো দিই। আমি ভীষণ পড়তে ভালবাসি। সেই সময়ে যে বইটা পড়ছি, সেটা মায়ের পায়ে ছুঁইয়ে পুজো দিই। আর হ্যাঁ... সরস্বতী মানেই কুল খাওয়া। প্রত্যেকবার সরস্বতী পুজোর সময় আমায় কুল খেতেই হবে। এছাড়াও আরেকটা নিয়ম মেনে আসছি ছোটবেলা থেকে.. পুজোর ২ দিন কোনও বইয়ের পাতা উল্টেও দেখব না। একদম পড়াশোনা নয়।'


ছোট থেকেই রোজ ডায়েরি লেখেন রুক্মিণী। বলছেন, 'বাবার থেকে আমি ডায়েরি লেখার অভ্যাসটা পেয়েছি। ছোট থেকে শুরু করে এখনও আমার প্রায় প্রতিটা কাজ, ইচ্ছা, স্বপ্ন, ভাললাগা সমস্ত কিছু লিখে রাখি ডায়েরিতে। সেদিন ডায়েরিটা উল্টোতে উল্টোতে চোখে পড়ল, কাজ শুরু করার প্রথম দিনটা। তখন বয়স মাত্র ১২। সেই প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। এখনও মনে আছে, প্রথম উপার্জন ছিল হাজার পাঁচেক টাকা। সেই চেকটা গিয়ে ঠাকুরের সামনে রেখেছিলাম। এই অভ্যাস আমার এখনও রয়েছে। মহরতের সময় পাওয়া শগুনের টাকা, যে কোনও চেক... সমস্ত আমি পাওয়ার পরে আগে ঠাকুরের কাছে রাখি। এমনকি চিত্রনাট্যও পাওয়ার পরে ঠাকুরের সামনে রাখি। এখনও এই অভ্যাসটা বজায় রেখেছি।'


পর্দার সামনে কাজ আর পড়াশোনা, এই দুটো সামলানো বেশ কঠিন। অল্প বয়সে উপার্জন করতে শুরু করলে অনেকেই দিকভ্রান্ত হয়ে যান। রুক্মিণী বলছেন, 'এই সমস্যা আমার কখনও হয়নি। কারণ মডেলিং করার সময় প্রচুর সিনেমার অফার পেলেও আমি কাজ করিনি। ১০ বছর সিনেমার থেকে দূরে থেকেছি শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্যই। বাবা-মা এই বিষয়ে কড়া ছিলেন। পড়াশোনা শেষ করতেই হবে। এছাড়া আমার বন্ধুরাও সবসময় যেন আমায় বাস্তবের মাটিতে টেনে নামিয়ে আনত। এত বছর পরেও কেউ যদি আমায় বলেন যে রুক্মিণীর অহংকার নেই, তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমার বাবা-মা আর বন্ধুদের। প্রথম প্রথম উপার্জন করে গোটাটাই তুলে দিতাম মা-বাবার হাতে। তারপর অবশ্য যা যা আবদার করে চেয়ে নিতাম সেটা উপার্জনের চেয়ে অনেক বেশি। তবে টাকা কখনও আমার মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি।'


আরও পড়ুন: Idhika Paul: রং নম্বরের ফোন থেকে শুরু প্রেম, ইধিকাকে উপহার পাঠাতেন কোনও গোপন প্রেমিক!


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।