কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) চতুর্থ গ্রেফতার। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রেশন দুর্নীতি মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ দাস।


বিশ্বজিতের ফরেক্স ট্রেডিং কোম্পানি ছাড়াও আমদানি-রফতানির ব্যবসা রয়েছে। ED-র দাবি, শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। ফরেক্স ট্রেডিং ছাড়াও বিশ্বজিতের সোনার কারবার রয়েছে। ED-র দাবি, ভুয়ো আমদানি-রফতানি দেখিয়ে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়। গতকাল সকালে বিশ্বজিৎ দাসের সল্টলেকের বাড়িতে হানা দেয় ED। একইসঙ্গে মেট্রোপলিটন এলাকায় তাঁর আরও একটি ফ্ল্যাট, বাগুইআটির অফিস-সহ ৬টি জায়গায় চলে তল্লাশি।


অপরদিকে, সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। তাঁকে আদালতে পেশ করে বিস্ফোরক দাবি করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এক-দু কোটি বা পাঁচশো-হাজার নয়, রেশনে দুর্নীতির অঙ্কটা ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা! এমন কি দুর্নীতির এই অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ইডি! আর এই আবহেই, পেট্রাপোল সীমান্তে শঙ্কর আঢ্যর অফিসে পৌঁছে গিয়েছিল এবিপি আনন্দ। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে শঙ্কর আঢ্যের মানি এক্সচেঞ্জের অফিস। 


পেট্রাপোলে রয়েছে শঙ্কর আঢ্যর মানি এক্সচেঞ্জের অফিস। ২০-৩০ বছর ধরে সেখানে শঙ্কর আঢ্য কারবার চালাচ্ছেন বলে জানাচ্ছে চেক পোস্ট ওয়েলফেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।  শঙ্কর আঢ্যর পাড়ারই শিল্পী তাঁর বিরুদ্ধে এনেছিলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। পেট্রাপোল চেক পোস্ট ওয়েলফেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অশোক ঘোষ বলেন, 'এই অফিস খোলা হয়নি,বাংলাদেশে ভোট চলছে বলে বন্ধ। ২০-৩০ বছর ধরে ব্যবসা করে। ওর ওখান থেকেই অনেক লাইসেন্স আমার বের করিয়েছে।'


আরও পড়ুন, আজ সরস্বতী পুজোয় দুর্যোগের আশঙ্কা, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা কোথায় কোথায় ?


কিন্তু এলাকায় ঠিক কতখানি প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল শঙ্কর আঢ্যর? বনগাঁর শিমূলতলা এলাকার বাসিন্দা সিন্টু ভট্টাচার্য। পেশায় শিল্পী সিন্টুকাজ করেন বিভিন্ন মূর্তি তৈরির। শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছেন তিনি। যিনি আবার তৃণমূল কর্মীও। শিল্পী ও তৃণমূলকর্মী  সিন্টু ভট্টাচার্য বলেন, বছরখানেক আগে একটি সংবাদমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাইভ অনুষ্ঠানে বলেছিলাম জ্যোতিপ্রিয় উত্তর ২৪ পরগনাকে পুরো নষ্ট করে দিচ্ছে ,বিষয়টি দেখতে বলে অনুরোধ করেছিল। এরপরই জ্যোতিপ্রিয় ও শঙ্কর আঢ্য মিলে থানায় একাধিক কেস করে। বাড়িতে হামলা হয় শঙ্করের নেতৃত্বে বলে অভিযোগ।