ট্রোলিং সহ্য করি, তাবলে অসভ্যতা!
"বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছে এমন ঘটনা। একের পর এক 'নোংরা' মেসেজ। চলেই যাচ্ছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ তো বটেই, ভারতের নামেও খুবই খারাপ কথা মেসেজ করছিল ছেলেটি। এভাবে কোনওদিন সোশ্যাল মিডিয়াতেও কেউ আক্রমণ করেনি কখনও। আমিও বারবার ব্লক করে দিয়েছি নম্বর। তবু অন্য নম্বর থেকে আবার সেই মেসেজ। খোঁজ নিয়ে দেখলাম বাংলাদেশের নম্বর।
একেবারে নাছোড়বান্দা ছেলে। অবশেষে আমি বিরক্ত হয়েই পদক্ষেপ করি। আমাকে বারবার ওই স্তরের নীচ মেসেজ পাঠানোয় রোশনও (স্বামী ) খুব বিরক্ত হয়। ও-ই আমায় বলে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যেতে।"
বরিশালে শিকড়, বাংলাদেশের উপর রাগ করি কী করে!
"বাংলাদেশে আমার শিকড়ের টান। দাদু ছিলেন বরিশালের মানুষ। আমি মনে-প্রাণে বাঙাল। তাই ও-দেশের মানুষকে ভীষণ ভালবাসি। ওই দেশ থেকে বরাবর খুব ভালবাসা পেয়েছি। 'সেদিন দেখা হয়েছিল', 'শুধু তেমারই জন্য'- এই ছবিগুলোর জন্য যা প্রশংসা পেয়েছি। ইন্দো-বাংলাদেশ উদ্যোগে দুটি ছবি করেছি। বাংলাদেশের দুটি ছবিতে কাজ করেছি। কিন্তু এই ধরনের মেসেজ ভাবতেই পারি না। এ ধরনের মুষ্টিমেয় মানুষই থাকে। এখন কাজ করছি রনি আহমেদের 'বিক্ষোভ' ছবিতে। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে আমার খুবই ভাল সম্পর্ক এমনিতে। কিন্তু ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে যখন পর পর অশ্লীল মেসেজ আসে, তখন ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর উপায় কি?"
এখন ক্ষমা চাইছে ছেলেটি!
"বাংলাদেশ হাই কমিশনে অভিযোগ করার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বাংলাদেশের মিডিয়াতেও বিষয়টি প্রকাশিত হয়। এখন চাপে পড়েই সম্ভবত, ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে বারবার ক্ষমা চাইছে মেসেজ প্রেরক। কিন্তু ভুল তো একবার হয়, বারবার হয় কি?? ওর বাড়িতেও তো মা-বোন আছে নাকি!"
দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করাটাও তো অপরাধ, মনে করছেন শ্রাবন্তী। তাই এই পদক্ষেপ। আশা রাখছেন এমন ঘটনা আর ঘটবে না। আপাতত একটি টিভি চ্যানেলের রিয়্যালিটি শো এর সঞ্চালনা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত শ্রাবন্তী। মুক্তির অপেক্ষায় কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত 'কাবেরীর অন্তর্ধান'।